প্রত্যেক মানুষের দুটি দিক আছে ----- দেহ আর মন। দেহের ভরনপোষনের জন্য যা কিছু লাগে সবাই সেইগুলো কিনে ঘর সাজিয়ে রাখে। মৃত্যুর পর সেগুলো আর কাজে লাগে না। এই নশ্বর দেহ পর্যন্ত আমরা ফেলে চলে যায়। কিন্ত সঙ্গে যায় আমাদের মন , কারণ মন হলো সূক্ষ্ম শরীর। সেই জন্য মনের গঠনের বিষয় প্রত্যেককে সতর্ক হতে হবে।
যেমন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তার মূল্য দিয়ে কিনতে হয়, তেমনি মনের গঠনের জন্য যা যা দরকার লাগে, সেইগুলোকেও কম-বেশি মূল্য দিয়ে কিনতে হয়। যেমন একটা বাড়ি নির্মাণের সময় শক্ত হাওয়ার জন্য ভালো ভালো জিনিস ব্যবহার করতে হয়, তেমনই চরিত্র গঠনের বেলাও কম-বেশি মূল্য দিয়ে গুনসমূহ, যত পারা যায়, অর্জন করতে হয়। এই গুনগুলোকে জীবনমূল্যূও বলে। জীবনমূল্য, তার মূল্যবোধ এবং সেইসব মূল্য অর্জন করার জন্য যা মূল্য দিতে হবে, সেটা জানার প্রয়োজন আছে। মানুষে মানুষে জীবনমূল্যের মূল্যবোধের মধ্যে তফাৎ দেখা যায়, আর এক এক মূল্য প্রাপ্তির জন্য তার ঠিক ঠিক দাম দিতে হবে। যত মূল্য বেশি, দাম তত বেশি।
সত্যনিষ্ঠা ::
সত্যনিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্য। সত্যের কথা বলতে গেলে রাজা হরিশচন্দ্রের কথা মনে পরে। অত্যন্ত সৎ ও মহান এই রাজার মহিষী ছিলেন শৈবা বা তারামতি। পুত্র রোহিতাশ্ব।
একদিন মৃগয়ারত হরিশচন্দ্র নারীকন্ঠের ক্রন্দন শুনলেন। ভাবলেন কোনও নারী হয়ত বিপদের সন্মুখীন। তিনি শর নিক্ষেপ করলেন। কিন্ত সেই ক্রন্দন ছিল মায়া। বিঘ্নরাজের সৃষ্টি। বিপদ আরও ঘোরতর করতে তিনি প্রবেশ করলেন রাজা হরিশচন্দ্রের দেহে। ওই অরণ্যেই তপস্যা করছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র। তাঁর সামনে গিয়ে কটুবাক্য নিক্ষেপ করলেন রাজা। তাকে দিয়ে ওই দুষ্কর্ম করান বিঘ্নরাজ। তপস্যা ভঙ্গ হওয়ায় কুপিত বিশ্বামিত্র রাজাকে বললেন " রাজসূয় যঞ্জের যাবতীয় ব্যায় পূরন করতে হবে তাকে। ইতিমধ্যে বিঘ্নরাজের প্রকোপ দূর হয়েছে। সম্বিত ফিরে পেলেন হরিশচন্দ্র। তিনি বুঝলেন সমূহ বিপদ উপস্থিত।
যঞ্জের নিমিত্ত সর্বস্ব হরণ করলেন বিশ্বামিত্র। রাজার ধন-সম্পদ , দাস-দাসী, লোকলস্কর থেকে শুরু করে শুধু কৌপীন পরে রাজ্য ত্যাগ করলেন রাজা হরিশচন্দ্র। সঙ্গে স্ত্রী ও পুত্র। ঐটুকুই মাত্র নিজের কাছে রাখার অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্ত তখন্ও তিনি জানতেন না সামনে কি অপেক্ষা করে আছে। তারাঁ যাতে দ্রুত রাজ্য ছাড়েন , রানী শৈবাকে লাঠিপেটা করতে লাগলেন বিশ্বামিত্র।
ভাগ্য বিড়ম্বিত রাজা পৌচ্ছালেন কাশী। দেখলেন সেখানে আগেই উপস্থিত বিশ্বামিত্র। তিনি বললেন তাঁর যঞ্জের ব্যায় এখনও বাকি। আরও অর্থের প্রয়োজন। হরিশচন্দ্র বাধ্য হলেন স্ত্রীকে বিক্রি করতে। শিশুপুত্র মাকে ছেড়ে কী করে থাকবে?? তাই সেও সঙ্গ নিল মায়ের। মহিষীকে বিক্রি করে যা পেলেন ঋষির হাতে সমর্পন করলেন রাজা। তথাপি ঋষির ক্ষুদা নিবৃত্ত হল না।এবার হরিশচন্দ্র বললেন তিনি ঋষির ক্রীতদাস হতে পারবেন। এই ভিন্ন আর কিছু দেবার নেই। তখন প্রভু বিশ্বামিত্র ক্রীতদাস হরিশচন্দ্রকে এক চন্ডালের কাছে বিক্রয় করে বেশ কিছু স্বর্ণমুদ্রা লাভ করলেন। রাজা থেকে ক্রীতদাস হওয়া হরিশচন্দ্র, চন্ডালের নির্দেশে নিযুক্ত হলেন শ্মশানে। নিকৃষ্ট, কদর্য উপায়ে নিবৃত্ত হতো তার ক্ষুদাবৃত্তি। একদিন রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে গেল তাঁর। দেখলেন পায়ের কাছে বসে কাঁদছেন স্ত্রী শৈবা। তাঁর কোলে মৃত পুত্র। সর্পাঘাতে মারা গিয়েছে সে। দেখে শোকে উন্মাদ হয়ে গেলেন রাজা। ভাবলেন আত্মহত্যা করবেন। কিন্ত ঋণ শোধ না করলে তো প্রজন্মে সেই বোঝা বহন করতে হবে। তাই নিবৃত্ত হলেন সেই চিন্তা থেকে। এমনকি স্ত্রীকেও বললেন যতক্ষণ না তিনি ঋণ মুক্ত হচ্ছেন ততক্ষণ পুত্রের অন্তষ্ঠি করবেন না। কারণ তাকেও প্রজন্মে পাপের ভাগীদার হতে হবে। সেই মুহূর্তে স্বর্গ থেকে আবির্ভূত হলেন দেবতারা। উপস্থিত হলেন ঋষি বিশ্বামিত্র। রাজা হরিশচন্দ্র ঞ্জাত হলেন যে, এসবই ছিল তাঁর উপর পরীক্ষা। এবং তাতে তিনি উত্তীর্ণ। অতএব স্বর্গবাসে আর বাধা নেই। সেই চন্ডাল যার কাছে ক্রীতদাস হয়ে ছিলেন রাজা , তিনি প্রকাশ করলেন নিজের পরিচয়। তিনি ছিলেন ধর্মরাজ। সস্ত্রীক স্বর্গারোহন করলেন রাজা। জীবন ফিরে পেল তাঁর পুত্র রোহিতাশ্ব।
পরবর্তী কালে দেখা যায় যে শ্রীরামকৃষ্ণ মা জগদম্বাকে সবকিছু দিয়ে দিচ্ছেন কিন্ত সত্যকে দিতে পারছেন না। বলছেন 'এইরকম আছে যে , সত্য কথাই কলির তপস্যা। সত্যকে আটঁ করে ধরে রাখলে ভগবান লাভ হয়। সত্যে আটঁ না থাকলে ক্রমে ক্রমে সব নষ্ট হয়। আমি এইভেবে যদিও কখনও বলে ফেলি যে বাহ্যে যাব, যদি বাহ্য নাও পায় তবুও একবার গাড়ুটা সঙ্গে করে ঝাউতলার দিকে যায়। আমার এই অবস্থার পর মাকে ফুল হাতে করে বলেছিলাম , "মা! এই নাও তোমার ঞ্জান, এই নাও তোমার অঞ্জান, আমায় শুদ্ধভক্তি দাও মা; এই নাও তোমার শুচি, এই নাও তোমার অশুচি, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও মা ; এই নাও তোমার ভাল, এই নাও তোমার মন্দ , আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও মা ; এই নাও তোমার পুণ্য, এই নাও তোমার পাপ, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও। " যখন এইসব বলছিলুম , তখন এ-কথা বলতে পারিিনি " মা! এই নাও তোমার সত্য, এই নাও তোমার অসত্য।" মাকে সব দিতে পারলুম , " সত্য " মাকে দিতে পারলুম না। তিনি বলতেন, যে সত্যকে ধরে আছে সে কোলে শুয়ে আছে।' সত্যের গুরুত্ব সম্বন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন " সত্য প্রাচীন বা আধুনিক কোন সমাজকে সন্মান করে না , সমাজকেই সত্যের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করিতে হইবে ; নতুবা সমাজ ধ্বংস হইবে। সত্যের উপর সকল সমাজ গঠিত হইবে ; সত্য কখনও সমাজের সহিত আপস করিবে না। "
কামগন্ধরাহিত্য ::
দ্বিতীয় গুন হলো কামগন্ধরাহিত্য। কামের ফলে বংশ বৃদ্ধি হয় বটে , কিন্ত কামের নিয়ন্ত্রণের ফলে মানুষ কি না করতে পারে, সে ঈশ্বর লাভ পর্যন্ত করতে পারে--- বললেন শ্রীরামকৃষ্ণ। স্বামী সারদানন্দজী লিখেছেন ' অন্য এক দিবস শ্রীশ্রীমাকে নিজ পার্শ্ব নিদ্রিতা দেখিয়া ঠাকুর আপন মনকে সম্বধন করিয়া এইরূপ বিচারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন ------- ' মন, ইহারই নাম স্ত্রী শরীর, লোকে ইহাকে পরম উপাদেয় বস্তু বলিয়া জানে এবং ভোগ করিবার জন্য লালায়িত হয়। কিন্ত উহা গ্রহন করিলে দেহেই আবদ্ধ থাকিতে হয় , সচ্চিদানন্দঘন ঈশ্বরকে লাভ করা যায় না। ভাবের ঘরে চুরি করিও না, পেটে একখানা মুখে একখানা রখিও না, সত্য বল তুমি তুমি উহা গ্রহন করিতে চাও অথবা ঈশ্বরকে চাও?? যদি উহা চাও তো সন্মুখে রহিয়াছে গ্রহন কর।' ঐরূপ বিবেেচনা পূর্বক শ্্র্রীশ্রীমাতাঠাকুুুুরানীর অঙ্গ স্পর্শ করিতে উদ্যত হইবামাত্র মন কুন্ঠিত হইয়া সহসা সমাধিপথে এমন
বিলিন হইয়া গেল যে সে রাত্রিতে উহা আর সাধারণ ভাবভূমিতে অবরোহন করিল না। ঈশ্বরের নাম স্মরণ করাইয়া পরদিন বহুযত্নে তাহার চৈতন্য সম্পাদন করাইতে হইয়াছিল।'
পএকদিন মা সারদা ঠাকুরের পদসংবহন করতে করতে জিঞ্জাসা করলেন " আমাকে তোমার কি বলিয়া বোধ হয় ?"
ঠাকুর তার উত্তরে বললেন " যে মা মন্দিরে আছেন তিনিই এই শরীরের জন্ম দিয়েছেন ও সম্প্রিতি নহবতে বাস করিতেছেন এবং তিনিই এখন আমার পদসেবা করিতেছেন। সাক্ষাৎ আনন্দময়ীর রূপ বলিয়া তোমাকে সর্বদা সত্য সত্য দেখিতে পাই। "
আবার শ্রীরামকৃষ্ণ মা সারদাকে একবার জিজ্ঞেস করলেন " কি গো তুমি কি আমাকে সংসারের পথে টেনে নিতে এসেছো ? " মা সারদা জবাব দিলেন " না । তোমার ইষ্টপথের সাহায্যের জন্যই আমি এসেছি " ।
শ্রীরামকৃষ্ণদেব একথাও বলেছেন " বিবাহের পর মাকে (জঁগদম্বাকে) ব্যাকুল হইয়া ধরিয়াছিলাম ' মা আমার পত্নীর ভীতর হইতে কামভাব এককালে দূর করিয়ে দে ! ------ ওর সাথে একত্রে বাস করিয়া এইকালে বুঝিয়াছিলাম, মা সে কথা সত্য সত্যই শ্রবন করিয়াছিলেন। "
এক শুভ দিনে শ্রীরামকৃষ্ণ মা সারদাকে দেবীর আসনে বসিয়ে ত্রিপুরাসুন্দরী ঞ্জানে পূজো করলেন সম্পূর্ণ সাধনার ফল, জপের মালা ইত্যাদি তাঁর পাদপদ্মে সমর্পন করে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করলেন। সর্বত্যাগী মানুষের জন্য এই উচ্চ আদর্শ। জনসাধারণের জন্য তিনি বললেন " এক দুই সন্তানের জন্মের পর স্বামী-স্ত্রী ভাই-বোনের সম্পর্কে সাধন ভজন , পূজা-পাঠ নিয়ে জীবনযাপন করবেন। "
সহ্য ও সন্তোষ ::
মা সারদা বলতেন " সহ্যের সমান গুন নেই। সন্তোষের সমান ধন নেই। " মায়ের মূল শিক্ষাটি হলো ____ সংসারে কত বিপরীত অবস্থার মধ্যে যেতে হয়। সেজন্য সহনশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন। সহ্য ও সন্তোতোষের উদাহরণ হলেন শ্রীমা স্বয়়ং।
দক্ষিণেশ্বরে মা থাকতেন নহবতে, ছোট্ট একটা ঘর। সেই ঘরে মহিলা ভক্তরাও রাত্রিবাস করতেন। শেষরাতে শষ্যাত্যাগ গঙ্গাস্নান, জপধ্যান, নহবতের সেই ছোট্ট পরিসরে রান্না, ভক্তদের সেবাযত্ন, শ্রীরামকৃষ্ণদেবর জন্য জিওল মাছের সংরক্ষন----- সবকিছুই সযত্নে করেছেন মা সারদা। শ্রীরামকৃষ্ণদেবর দেহবসাানর পর তীর্থযাত্রায় বেরুলেন। ফিরে এসে থাকলেন কামারপুকুর বা জয়রামবাটিতে। কেউ জানতে পারত না মায়ের উপর দিয়ে কি গেছে। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন --- কারও কাছে হাত পাতবে না। নীরবে কষ্ট সহ্য করতেন মা। কাপড় ছিড়ে গেছে, নিজে সেলাই করে ব্যবহার করতেন। বাগানে যে সবজি হতো তাতে সন্তুষ্ট। মেজেতে শুয়ে যে আনন্দ ঠিক ততটাই আনন্দ পেতেন উদ্বোধনে খাটে শুয়ে। মায়ের অসাধারণ ব্যক্তিত্ত্ব। সন্তোষের মতন আর ধন নেই। সন্তোষরূপ ধন যার আছে, তার কোনো চাহিদা নেই। কারও কাছে হাত পাততে হয় না। ত্যাগের প্রতিক হল শ্রীরামকৃষ্ণ। ত্যাগ হলো শ্রীরামকৃষ্ণের অঙ্গভূষন।
নিরহঙ্কার : :
মানুষের মধ্যে কাম, ক্রোধ, লোভ , মোহ, মদ মাৎসর্য আদি খারাপ গুন রয়েছে। ঐগুলো সে নিজেও বুঝতে পারে। কিন্ত অহংকার এমন একটা জিনিস, কাউকেই সহজে বুঝতে দেয় না। শ্রীকৃষ্ণের জীবনে দেখা যায় তিনি দাদা বলরাম, অর্জুন, সত্যভামা, গরুর, সুদর্শন চক্র, নারদ মুনি, এদের দর্প চূর্ণ করলেন। শ্রীরামকৃষ্ণেও বলতেন " আমি আমার " অঞ্জান। ঈশ্বরকে দখতে দেয় না। বলতেন " আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল"। এই অহংকারের কারনে মানুষের মধ্যে যত সমস্যা। মিলে মিশে কাজ করতে পারে না , এক সঙ্গে থাকতে পারে না, আত্মহত্যা পর্যন্ত করে ফেলে।
উদ্ধব এক মহাঞ্জানী, তার ছিল ব্রাহ্মঞ্জানের অহংকার। শ্রীকৃষ্ণ তাকে ভক্তি পথে, শরণাগতির পথে আনতে চাইলেন। তাকে পাঠালেন বৃন্দাবনে, গোপীদের কাছে এই বলে যে, তিনি যেন তাদের ঞ্জানের প্রকাশ দেন যাতে তারা ভক্তির কারণে উৎপন্ন পীড়া থেকে রক্ষা পায়। হলো উল্টো। উদ্ধব ফিরলেন বৃন্দাবনের মাটি গায়ে মেখে, জয় রাধে, জয় রাধে বলতে বলতে। অবতার একটা ধর্মেরই স্থাপন করেন, অনন্যা ভক্তি ও শরণাগতি। ভক্তি পথ সহজ পথ, সোজা ভগবানের কাছে নিয়ে আসে।
আসল বা মূল কথা ::
জীবনমূল্যূ অনেক আছে আর গুনি ব্যক্তিও অনেক আছে। মা সারদার একটি অনুপম আদেশ পালন করতে হবে ----- নিজের দোষ দেখা আর অন্যের গুন দেখা। তার ফলে আমরা দোষমুক্ত হব। নিজের জীবনে গুনের সঞ্চয় করতে পারব। কারো মধ্যে কোনো গুন যদি দেখতে পাওয়়া যায়, যেমন বিদ্যা, বিনয়, শ্রদ্ধা, পরোপকার ,দেশপ্রেম ইত্যাদি , সেই গুন আমাকেও পেতে হবে। নিজের সংস্করের সাথে যুুদ্ধ করতে হবে। জয় পরাজয় দুুুই-ই হতে পারে। হেরে গেলে ভয় পেতে নেই। বিবেক সাহসরুপী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাপিয়ে পরতে হবে। জয় সুনিশ্চিত। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন " এগিয়ে যাও, বৎস ভয় পাইও না। " যে কোনো লড়াইয়ে লেগে থাকতে হবে। এইটি হলো রননীতি ও রহাস্য। জয় হবে সুনিশ্চিত।
আর একটি কথা, অন্যান্য লোককে পর ভাবা মনের একটি বিকার মাত্র। শিখতে হবে যে সবাই আপনার। তা করতে পারলে জগৎ শান্তিময় হয়ে উঠবে।
No comments:
Post a Comment