*ওঠো কাজে লাগো*
*#স্বপ্নের_যুবকগণ*
(০৩-০১-১৪২৭)
বিশ্ব মহামারী সর্বত্র। আমরা ঠাকুরের ছেলেমেয়েরা দিব্যত্রয়ীর মুখ চেয়ে আছি। বেশ কিছুদিন ধরে লকডাউন চলছে। সকলেই এক অস্বাভাবিক জীবনযাপন এর মধ্যে রয়েছি। মন বড়ই অশান্তির মধ্যে রয়েছে অধিকাংশ রামকৃষ্ণ ভক্তমন্ডলীর কাছে। ঠাকুর মন্দিরে একা একা রয়েছেন। আমাদের ঠাকুর আবার বড়ই ভক্তবৎসল। ভক্ত ছাড়া তিনি এক মুহূর্ত থাকতে পারেন না। তিনি ভক্তের ভগবান। আবার এর মধ্যেই বিভিন্ন রকমের মানুষ মঠ নিয়ে কুমন্তব্য করেছেন, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি এই দুর্যোগে তারাও সুস্থ এবং শান্তিতে থাকুক। আবার এদিকে মিশনের পরম্পরা অনুযায়ী সাধুরা কোন দিকে কান না দিয়ে সেবাধর্মের মাধ্যমে নিজেদের জীবন পাত করছেন, হ্যাঁ! এটাই রামকৃষ্ণ মিশনের একমাত্র ধর্ম।
জানেন! আমাদের সঙ্ঘে যারা গুরু আছেন, তারা আমাদের যেভাবে সাধন পদ্ধতি শিখিয়েছেন, মনে হয় না এইরকম মহৎ থেকে মহত্তর সাধন প্রণালী জগতে আর কিছু থাকতে পারে। আমরা নিয়মিত সাধন-ভজনের সময়, সর্বাগ্রে এই প্রার্থনা করি- *"জগতের কল্যাণ হোক, মঙ্গল হোক, জগতের সকলেই যেন সুখ শান্তিতে থাকে"* ইত্যাদি। সুতরাং, জগতের জন্য মঙ্গল প্রার্থনা আমরা নিয়মিতই করে থাকি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জগতের কল্যাণ প্রার্থনা নিয়মিত আমরা যেরকম ভাবে করি, এখনো কি সেই রকম ভাবেই করব !
দেখুন সারা বছর আমরা ঠাকুর-মা-স্বামীজি কে নিত্য আরাধনা করি, কিন্তু তাদের জন্ম তিথির সময় মোটামুটি সকলেই আমরা তাদের একটু বিশেষভাবেই আরাধনা করি,
অতএব এখন জগতের কল্যাণ চিন্তা প্রার্থনা করার বিশেষ সময়।
মঠ ও মিশনের অধিকাংশ ভক্তই,বিশেষত যুবসমাজ সর্বদাই মঠ ও মিশনের ধারাকে ধরে রাখার চেষ্টা চালায়। তাই স্বামীজীর সেই স্বপ্নের যুবক ভাইয়েরা! এখন আশপাশটা চেয়ে দেখার সময় হয়ে এসেছে, বড্ড দুঃখ যন্ত্রণার মধ্যে মানুষ রয়েছে, শুধু মানুষ কেন পশুপাখি সকলেই । এখনই তো সময়, বিবেকানন্দকে নিজের জীবনে প্রবেশ করানোর! তোমরা মানুষের জন্য কি কিছু করতে পার? এই দুর্দিনে! আচ্ছা তা না পারলেও অন্তত আশপাশের পশুপাখি গুলোর জন্য কিছু করো দেখি।
মনে পড়ছে? শুনতে পাচ্ছ ? স্বামীজির কথা!
খুব ভালো করে শোনো,
মন দিয়ে শোন, স্বামীজি বলছেন- *"আমি চাই তোরা খেটে খেটে মরে যা"*,
তিনি আমাদের খেটে খেটে মরতে বলছেন মানুষের জন্য!
নাহ্! ঠাকুর-মা-স্বামীজীকে আমরা যখন ধরেছি একবার, তখন আবার মরবো কেন! আমরা অমৃতের সন্তান, আমাদের মৃত্যু নেই -এ আমাদের নিশ্চিত ধারণা। তবে পরহিতে জীবনপাত করে মানব জনম সার্থক করতে হবে,এটাই উপযুক্ত সময়, তবেই শ্রীরামকৃষ্ণের পূজা পূর্ণতা পাবে।
পরিশেষে সকলে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, সুখে থাকুক এবং শান্তিতে থাকুক শ্রীরামকৃষ্ণ চরনে এই প্রার্থনা।।
ইতি--.
মায়ের দামাল ছেলে,,
স্বামী ভুতেশানন্দজী মহারাজের জীবনকথা।
––––––––––––––
মহারাজের জীবনের শেষদিকের একটি ঘটনা।
সন্ধ্যায় বাগানের ভেতরের রাস্তায় হাঁটছেন। আমি একটু পরে গেলাম। আমাকে দেখেই বাগান দেখিয়ে বললেন বুঝেছ স - সব সূর্যমুখী ফুলগাছগুলো কেটে বাগান সাফ করে ফেলেছে।
কেন?
না গাছগুলো আর ফুল দেবেনা। বুড়ো হয়ে গেছে। ঢ্যাঙাগাছ গুলো রেখে আর কি হবে?
আমরা সব চুপ করে আছি। সঙ্গে হাঁটছি।
মহারাজ বলে চললেন সেবার আমেরিকায় গিয়েছি। একদিন দেখি কি আমাদের গাড়ীর সামনে রাস্তায় পালপাল গরু মোষ চলেছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ওগুলো কোথায় চলেছে?
ওরা বললো ওগুলো বুড়ো হয়ে গেছে, ওগুলো আর দুধ দেবেনা, তাই ওগুলোকে কসাইখানায় নিয়ে যাচ্ছে।
আমরা সকলে চুপ করে আছি। একটুপরে মহারাজ নীরবতা ভঙ্গ করে বললেন তাইতো গরুগুলো বুড়ো হয়ে গেছে আর দুধ দেবে না।
গাছগুলো বুড়ো হয়ে গেছে আর ফুল দেবে না।
বুড়ো বুড়িরা আমার কাছে এসে ঠিকই বলে - ওদের বাড়িতে জায়গা হয় না। বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাচ্ছে।
আমিও তো বুড়ো হয়ে গেছি। আমি কি করছি?
আমরা একেবারে চুপ নির্বাক।
এরপর আরও কিছু সময় হেঁটেছি।
মনে আছে বেশ কিছুক্ষন মহারাজ কথা বলেননি। একেবারে মৌন।
বুঝলাম গাছগুলোকে উপলক্ষ করে মহারাজের মন কত গভীর চিন্তায় আবিষ্ঠ।
প্রত্যেকের যা দেবার তা ফুরুলে সে জগতে ব্রাত্য।
বেঁচে থাকার বা জগতের এককোণে পড়ে থাকার অধিকারটুকুও তার নেই।
সমগ্র জীবনে তার অবদান বা অতীতকে মনে করে তারও জগতে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
তার যা দেবার সেটা ফুরালেই তাঁকে জগত থেকে শেষ করে দিতে হবে –
অবদানহীন অবস্থায় প্রাণমাত্র ধারণের যোগ্যতাও কারও থাকবে না।
এ কেমন জগত? একথাগুলোই যেন মহারাজ মৌন নিস্তব্ধতার মধ্যে বলতে চেয়েছেন।
আবার মহারাজ গম্ভীর কণ্ঠে বলে চলেছেন দেখলে মানুষ কেমন স্বার্থপর। গাছগুলো কেমন বড় হয়েছে কিন্তুু যেহেতু ফল দেয় না কেটে ফেলল।
অর্থাৎ যেহেতু ওটা আর আমার প্রয়োজনে আসছে না অতএব ওটার আর দরকার কি?
মানুষ সর্বদা নিজের প্রয়োজনের কথা ভাবে। একবারও ভাবেনা যে আমার প্রয়োজন ছাড়াও সেটার একটা নিজস্ব জীবন আছে। একটা Purpose আছে।
মাঝেমাঝে মানুষ বলে ভগবান পোকামাকড় কীটপতঙ্গ কেন সৃষ্টি করেছেন?
অর্থাৎ এগুলো তাঁর কোন উপকারে লাগছে না, অতএব এগুলোর কোন দরকার নেই।
নিজেকে ছাড়া নিজের প্রয়োজনকে সম্পর্কিত না করে মানুষ যেন ভাবতে পারে না।
এই হচ্ছে ego centric মনোভাব। একবারও ভাবে না যে আমার প্রয়োজনে না লাগলেও এদের একটা নিজস্ব জীবন আছে।
কি purpose আমরা বুঝি না। কিন্তু ওগুলোর দরকার নেই এরকম বলা ego র প্রকাশ।
স্বামী ভুতেশানন্দজী মহারাজের রসবোধ -
–" স্বামী ঋতানন্দ "।
M.-—says in the 2nd Volume of the Kathamritha (7th edition, page 268)
that Sri Ramakrishna did not give formal sanyas to any
one and that the devotees called themselves by their old names Dutt, Ghose, Ganguli, etc., and continued their studies living in their homes as before, for sometime after the passing away of the Master. “ Sri Ramakrishna did
not give formal Sanyas to any of his disciples. Formalism
and calculation were not in his nature. He moved
wholly by the impulsion of the Divine Mother’s Will.
He gave the first initiation to his boys, thus laying
the foundation of their spiritual life, but he left the second to be given by ‘ Noren ’ who became the leader
of the group after the Master was gone (Sri Ramakrishna
and His Disciples by Sister Devamata, page 98). When
the Sanyas was actually given and in what order to the various monks is not definitely known- In Swami Sishya
Samvada (Part I, p. 99) of Saratchandra Chakravarty,
a disciple of Swami Vivekananda, it is stated “We have
heard that after the Mahasamadhi of Sri Ramakrishna,
Swamiji (Vivekananda) collected all the passages in the Upanishads dealing with the rules for taking Sanyas and
took Sanyas with his gurubhais according to Vedic rites before a picture of Sri Ramakrishna.” The Bengali
Book ‘ Kali-Tapaswi ’ (Life of Swami Abhedananda,
published by the Ramakrishna Vedanta Society, Calcutta)
gives the following version (pages 38—40): “Gradually
Norendra brought to the Mutt (Baranagore) Sarat,
Rakhal, Baburam, Niranjan, Gangadhar, Subodh, Hari,
Tulasi, Sarad and others . One day Noren wanted to take Sanyas with his gurubhais according to Vedic rites. Kali made arrangements for performing
the Viraja Homa according to the Shastras, and placing the sandals of the Guru (Sri Ramakrishna) in front,
officiated as the director, and Noren, Kali, Sasi, Sarat, Rakhal,Baburam, Niranjan, etc., performed the ceremony. Noren called himself Vividishananda and gave names to the others according to their characteristics. Tarak did not join in the above homa. When Jogin and Latu returned from Brindavan, Kali made them perform the Homa and take Sanyas. A few days
after, Hari and Tulasi took Sanyas in the above manner.” Vaikuntanath Sanyal, a direct disciple of the Master has stated that Norendra took Sanyas himself and gave Sanyas to Brahmananda, Ramakrishnananda, Abhedananda, Adbhutananda, Nirmalananda, Turiyananda and others by performing jag-yajna (sacrificial fire) before the picture and relics of Sri Ramakrishna paramahamsa All these took sanyas on the same day.”
In a conversation at Benares
Swami Nirmalanandaji
stated -
One day Swamiji (Vivekananda) selected the Mantras necessary for taking Sanyas from Mahanirvana Tantra and gave Sanyas to all of us. Sarat, Sasi, Kali, Latu, Gopal senior, Maharaj and Baburam—all of us
received Sanyas from Swami Vivekananda. Later on Mahapurushji, Vijnananandaji, Niranjananandaji and
Trigunateetajl took Sanyas themselves in the shrine of Sri Ramakrishna. Swamiji gave us the Sanyas names.”
So, Noren who became Vividishananda himself gave Sanyas to his gurubhais and gave them appropriate names To Tulasicharan Dutt, he gave the name Nirmalananda ‘ on account of the rare purity of his character, so wrote Swami Ramakrishnanandaji.
Source -Swami Nirmalananda His life and teachings pages 21,22.
🍀 দেহ ত্যাগের দুদিন আগে স্বামীজী নিমন্ত্রণ করেছিলেন নিবেদিতাকে । আয়োজন খুব বেশী ছিল না । অতি সামান্য উপকরণ । বরফ দিয়ে ঠান্ডা করা দুধ, আলু সেদ্ধ, কাঁঠাল বিচি সেদ্ধ আর ভাত । উপকরণের অভাব বিবেকানন্দ আদরযত্নে পূরণ করে দিলেন । স্বামীজী নিজেই পরিবেশন করছেন । মজার মজার কথাবার্তা স্বামীজী বলছেন -- নিবেদিতা বসে বসে শুনছেন সে সব কথা আর খাচ্ছেন । খাওয়া শেষ হল ।
স্বামীজী নিজের হাতে জল ঢেলে দিলেন, পরে নিজেই তোয়ালে দিয়ে হাত মুছিয়ে দিলেন । লজ্জা পেলেন নিবেদিতা । বললেন, স্বামীজী, এসব তো শিষ্য-শিষ্যারাই করে । আপনি এসব করছেন কেন ? স্বামীজী একটু হাসলেন । তারপর পরম স্নেহে ধীরে ধীরে উত্তর দিলেন, তুমিতো জান যিশুও তাঁর শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন । উত্তর শুনে বিমর্ষ হয়ে পড়লেন নিবেদিতা । ফ্যাকাসে হয়ে গেল তার মুখ । এ কি কথা শুনছেন তিনি গুরুর মুখে ? যিশু তাঁর শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিয়ছিলেন কিন্তু সে তো তার মৃত্যুর আগের দিন । নিবেদিতা বিদায় নিলেন । গুরু আশীর্বাদ করলেন তাঁকে ।
স্বামীজী ইঙ্গিতে আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন নিবেদিতাকে, কিন্তু নিবেদিতা বুঝতে পারেননি । আসল কথা কয়েকদিন স্বামীজীকে তো বেশ সুস্থই দেখাচ্ছিল ।
শুক্রবার ৪ জুলাই । সেদিন বেশ ভাল আছেন স্বামীজী । সকালে ধ্যান করলেন দীর্ঘকাল ধরেই । দুপুরে শিষ্যদের সংস্কৃত পাঠ দিলেন । বিকেলে কয়েক মাইল পায়ে হেঁটে ঘুরে এলেন । ফেরার পরে যখন সন্ধ্যারতির ঘন্টা বাজছে, তখন নিজের ঘরে এসে ধ্যানে বসলেন । মুখ তাঁর দক্ষিণেশ্বরের দিকে । হাতে তাঁর জপের মালা । একঘন্টা অতিক্রমণের পর তিনি মেঝেয় শুয়ে পড়লেন । আরও একঘন্টা পরে দুটি গভীর শ্বাস বের হয়ে এল । সামান্য একটু কান্না -- শিশুর মতো । তারপর -- তারপর সব শেষ । ধ্যানের মাধ্যমে আত্মা বের হয়ে গেছে দেহ ছেড়ে । দেহটা শুধু পড়ে রইল পরিত্যক্ত বস্ত্রের মতো 🍀
🌺 প্রণাম স্বামীজী 🌺
💜 প্রণাম ভগিনী নিবেদিতা 💜
ফ্র্যাঙ্ক রোডহ্যামেলের কথায় :~
স্বামীজীর সব বক্তৃতাতেই তিনি বোমাবর্ষণ করতেন ৷ অাকস্মিক ঝাঁকি দিয়ে চিরাচরিত একঘেয়ে পথের বাইরে শ্রোতাদের টেনে বার করতেন ৷ খ্রীস্টানদের ঈশ্বরতত্ত্ব-বিষয়ক চিরাচরিত ধর্মমতের বিরুদ্ধে যায় এমন সব বিস্ময়কর বৈদান্তিক ধারণাগুলি তিনি অম্লানবদনে সর্বসমক্ষে পেশ করে এক মুহুর্ত থেমে যেতেন, এবং দাঁত দিয়ে নীচের ঠোঁট চেপে শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া উদগ্রীব হয়ে লক্ষ্য করতেন ৷ কতবার, কতবার যে তিনি এমন করেছেন তা বলার নয় ! এবং বলা বাহুল্য সর্বদাই তার শুভ প্রভাব শ্রোতাদের অাবিষ্ট করতো ৷
একদিন স্বামীজী বললেন : "অনুতাপ করো না ! কখনও অনুতাপ করো না !.... এগিয়ে চল ! হাহুতাশ করে নিজেকে অবসন্ন করো না ! পাপ বলে যদি কিছু থেকেও থাকে, সে পাপের বোঝা গা থেকে ঝেড়ে ফেলে নিজেদের সত্য পরিচয়টি জানো ৷ স্বরূপত তোমরা শুদ্ধ, অপাপবিদ্ধ, নিত্যমুক্ত ৷ যিনি তোমাদের পাপী বলেন, একমাত্র তিনিই ঈশ্বর-নিন্দুক....৷"
খ্রীস্টীয় জগতের পরম্পরাগত যে-শিক্ষা তার বিরুদ্ধে এর চাইতে তীব্রতর আঘাত আর কি হতে পারে !
স্বামীজী বলতেন : "এ জগৎটাই একটা ঘোর কুসংস্কার ৷ আমরা সম্মোহিত হয়ে আছি, তাই এটাকে সত্যি বলে মনে করি ৷ এই মোহজাল ছিন্ন করে ফেলতে পারলেই আমরা মুক্ত.... ৷ এই বিশ্বসংসার প্রভুর খেলা বই কিছু নয় ৷ এ-সব কিছুই তাঁর মজার জন্য ৷ কারণের বশীভূত হয়ে তিনি কোনও কিছু করেন না ৷ ঈশ্বরের লীলা বুঝতে হলে তাঁকে আগে জানো ৷ তাঁর খেলার সঙ্গী হও, তাহলে তিনিই সব বলে দেবেন.... ৷ আর আপনারা যাঁরা দার্শনিক, তাঁদের উদ্দেশ্যে অামি বলি — এই বিশ্বের অস্তিত্বের কোনও হেতু খুঁজতে যাওয়া অযৌক্তিক, কারণ তাতে ঈশ্বরকে সীমিত করে ফেলা হয়, যা আপনারা মোটেই চান না ৷"
এই বলে তিনি অদ্বৈত বেদান্তের মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলির অপূর্ব ব্যাখ্যা দিতে লাগলেন ৷
এই যোগের নাম অষ্টাঙ্গযোগ, কারণ এর প্রধান অঙ্গ আটটি। যথা-
🌼 প্রথমঃ যম। যোগের এই অঙ্গটি সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি সারা জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করবে। এটি আবার পাঁচ ভাগে বিভক্তঃ
(১) কায়মনোবাক্যে হিংসা না করা।
(২) কায়মনোবাক্যে লোভ না করা।
(৩) কায়মনোবাক্যে পবিত্রতা রক্ষা করা।
(৪) কায়মনোবাক্যে সত্যনিষ্ঠ হওয়া।
(৫) কায়মনোবাক্যে বৃথা দান গ্রহন না করা(অপ্ররিগ্রহ)।
🌼 দ্বিতীয়ঃ নিয়ম। শরীরের যত্ন, স্নান, পরিমিত আহার ইত্যাদি।
🌼 তৃতীয়ঃ আসন। মেরুদন্ডের উপর জোর না দিয়ে কটিদেশ, স্কন্ধ ও মাথা ঋজুভাবে রাখতে হবে।
🌼 চতুর্থঃ প্রণায়াম। প্রাণবায়ুকে আয়ত্ব করবার জন্য শ্বাসপ্রশ্বাসের সংযম।
🌼 পঞ্চমঃ প্রত্যাহার। মনকে বহির্মুখ হ’তে না দিয়ে অন্তর্মুখ ক’রে কোন জিনিস বোঝবার জন্য বারংবার আলোচনা।
🌼 ষষ্ঠঃ ধারণা। কোন এক বিষয়ে মনকে একাগ্র করা। সপ্তম-ধ্যান। কোন এক বিষয়ে মনের অবিচ্ছিন্ন চিন্তা।
🌼 অষ্টমঃ সমাধি। জ্ঞানের আলোক লাভ করাই আমাদের সকল সাধনার লক্ষ্য।
যম ও নিয়ম সারা জীবন ধ’রে আমাদের অভ্যাস করতে হবে। জোঁক যেমন একটা ঘাস দৃঢ়ভাবে না ধরা পর্যন্ত আর একটা ছেড়ে দেয় না, তেমনি একটি সাধন ছাড়বার আগে অপরটি বেশ ক’রে বোঝা এবং অভ্যাস করা চাই।ll
🌼°°স্বামী বিবেকানন্দ°°🌼
কেউ পাপী নয়-----
স্বামীজী বলতেন, সবসময় কাউকে তার ভুল-ত্রুটির কথা মনে করিয়ে দিলে তার ক্ষতি করা হয়. যেসব বাবা-মা ছেলেমেয়েদের বলে 'এটার কিছু হবে না----বোকা, গাধা'----সেই ছেলেমেয়েরা অনেক সময় সেরকমই হয়ে যায়. আর যদি ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দেওয়া হয়, ভাল বলা হয়----তাহলে সত্যি সত্যিই তারা ভাল হয়. কারণ 'Negative thought মানুষকে weak করে দেয়. Positive ideas দিতে পারলে সাধারণে মানুষ হয়ে উঠবে ও নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখবে.' ঠাকুরের উদাহরণ দিয়ে বলছেন, 'যাদের আমরা হেয় মনে করতুম, তাদেরও তিনি উৎসাহ দিয়ে জীবনের মতি-গতি ফিরিয়ে দিতেন.' কাজেই, নেতিবাচক জিনিসটার দিকে অত জোর দিতে নেই----ইতিবাচক কিছু আছে কিনা দেখতে হয়.
ঠাকুর তাই বলছেন, তোমাদের কেবল পাপ, পাপ, পাপ ! পাপের কথা এত বল কেন তোমরা ? ঈশ্বরের কথা বল. বলছেন, হাততালি দিলে যেমন পাখিরা গাছ থেকে উড়ে যায়, তেমনি হরিনাম করলে দেহবৃক্ষ থেকে পাপ-পাখিরা সব উড়ে যায়.
যীশুখৃষ্টের জীবনে একটা ঘটনা আছে. এক মহিলাকে অনেক লোক তাড়া করেছে. মহিলাটি দুশ্চরিত্রা, তাই সবাই তাকে শাস্তি দেবে, ঢিল ছুঁড়ে মারবে তাকে. যীশু দেখলেন এই দৃশ্য. দেখে বললেন, থাম. তোমাদের মধ্যে যে জীবনে কোনদিন কোন অন্যায় করনি, সে প্রথম ঢিলটি ছুঁড়বে. সবাই মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে. এমন কেউ নেই সেখানে যে কোনদিন কোনো অন্যায় করে নি. যীশু তখন তাদের চলে যেতে বললেন আর সেই মহিলাকে দু-একটা সদুপদেশ দিয়ে বিদায় দিলেন. ধর্ম বা ধর্মগুরু----তাঁরা এই করেন. মানুষকে ক্ষমা করেন. ক্ষমা করেন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে নয়, মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে.
-------স্বামী লোকেশ্বরানন্দ
আমি কচুরি সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী, বলতেন বিবেকানন্দ
বাঙালি মাত্রই খাদ্যরসিক, সেই তালিকা থেকে বাদ ছিলেন না স্বামী বিবেকানন্দও। শোনা যায়, কচুরি-তরকারির প্রতি তাঁর এমন আসক্তি ছিল, বিদেশে নিজের হাতে বানিয়ে খেতেন সেই পদ! আজ প্রথম পর্বঅলোক নাথ শেঠ
কচুরি খেতে ভালোবাসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু জানেন কি, স্বামী বিবেকানন্দও কচুরি খেতে খুব পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন, কচুরি ছাড়া নাকি তাঁর দিন চলে না। মাঝে মাঝেই কলকাতার নামকরা দোকানে ঘুরে ঘুরে তিনি কচুরি খেতেন। আবার মাঝে মাঝে দোকান থেকে আনিয়েও খেতেন। কিন্তু বিদেশে থাকার সময় তাঁকে কে বানিয়ে দেবে কচুরি আর তরকারি? বিদেশে বাড়ির বেসমেন্টে বসেই তিনি বানিয়ে ফেলতেন গরমাগরম কচুরি আর তরকারি। তার পর তৃপ্তি করে তা উদরস্থ করতেন।
ভারত ভ্রমণে বেরিয়েছেন স্বামীজি। পথে এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আচ্ছা, আপনি কোন সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী? গিরি না তোতাপুরি?’ বিবেকানন্দ বরাবরই কথার প্যাঁচে পটু ছিলেন। তাঁর জবাব ছিল, ‘গিরি তোতাপুরি কোনওটাই না, আমি কচুরি সম্প্রদায়ভুক্ত।’ এমনই ছিল তাঁর কচুরি প্রেম। সিমলার বিখ্যাত কচুরি বিক্রেতা ‘পরমহংসের কচুরি’র দোকান থেকে তিনি প্রায়ই কচুরি আনাতেন নিজের আর বন্ধু রাখালের জন্য। পরবর্তীকালে রাখালই হন স্বামী ব্রহ্মানন্দ।
শুধু কচুরি নয়, স্বামীজি ছিলেন আসলে খাদ্য রসিক। নানা রকম খাবার তাঁর পছন্দের তালিকায় ছিল। শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন, ‘খালিপেটে কখনও ধর্ম হয় না’। গুরুদেবের এই কথাটি বিবেকানন্দ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। আর তা হবে না কেন! ছোটবেলা থেকে দত্ত পরিবারের বাসমতী চালের পোলাও খেয়ে বড় হওয়া। তাঁর পিতাও ছিলেন ভোজনরসিক। মাংস আর পোলাও ছাড়া অন্য কোনও খাবারে দত্ত বাড়ির রুচিই আসত না। শ্রীরামকৃষ্ণও স্বামীজিকে খাওয়াতে ভালোবাসতেন। তিনি বলতেন, ‘নরেনকে খাওয়ালে লক্ষ ব্রাহ্মণ ভোজন করানোর পুণ্য হয়…।’ কিন্তু তাঁর খাদ্য তালিকায় সব কিছুর উপরে থাকত কচুরি আর তরকারি। এটা না খেলে তাঁর দিন যেত না। সমস্ত মায়া ত্যাগ করা মানুষটি কচুরি দেখলে লোভ সংবরণ করতে পারতেন না।
স্বামীজির মাংসপ্রীতির কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। মাংসের নানা পদ তাঁর প্রিয় ছিল। মুরগির মাংস খেতে তিনি বিশেষ ভাবে পছন্দ করতেন। সে সময় মুরগির মাংস গৃহস্থ ঘরে ঢোকা ঘোর অনাচার বলে মানা হত। কিন্তু স্বামীজি এ সব নিয়ম মানতেন না। স্বামীজির মুরগির মাংসের প্রতি এ হেন প্রেম সম্বন্ধে স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণও অবগত ছিলেন। স্বামীজি নানা হোটেল গিয়ে যথেচ্ছ পরিমাণে মাংস ভক্ষণ করতেন। একদা এক শিষ্য শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে স্বামীজির নামে অভিযোগ জানায়। ঠাকুর হেসে বলেছিলেন, ‘খেয়েছে তো কী হয়েছে। তুই যদি রোজ হবিষ্যিও খাস, আর নরেন যদি রোজ হোটেলে মাংস খায়, তা হলেও তুই নরেনের সমান হতে পারবি না।’
শোনা যায়, তিনি কালীঘাটের মায়ের মন্দিরের পাঁঠাবলির মাংস অনেক সময় বেলুড় মঠে এনে রান্না করে খেতেন এবং গুরুভাইদেরও খাওয়াতেন। বিবেকানন্দের মাংসপ্রীতি সম্বন্ধে স্বামী অভেদানন্দ লিখেছেন, ‘সে দিন নরেন বলিল, চল আজ তোদের কুসংস্কার ভাঙিয়া দিই…। সন্ধ্যার সময় কাশীপুর বাগান হইতে পদব্রজে আমরা নরেনের সঙ্গে বিডন স্ট্রিটে বর্তমানে যেখানে মিনার্ভা থিয়েটার, তাহার নিকটে পীরুর দোকানে উপস্থিত হইলাম। নরেন ফাউলকারি অর্ডার দিল…। রাত্রে কাশীপুরে ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, কোথায় গিয়েছিলি? আমি বলিলাম কলিকাতার বিডন স্ট্রিটে পীরুর দোকানে।… জানতে চাইলেন কী খেলি? আমি বলিলাম মুরগির ডালনা। শেষ পর্যন্ত ঠাকুর ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন, বেশ করেছিস।’
খাদ্যপ্রিয় স্বামী বিবেকানন্দের পছন্দের তালিকায় ছিল কই মাছের ঝাল। চায়ের নেশাও ছিল তাঁর। আমিষ খাবার তিনি এতটাই পছন্দ করতেন যে মঠ-মিশনের থাকার সময়ও তিনি আমিষ খাবারই খেতেন। মৃত্যুর দিনেও স্বামীজি দুপুরে পেটপুরে ভাত আর ইলিশ মাছের ঝোল খেয়েছিলেন। তার পর বলেছিলেন, একাদশীতে না খেয়ে পেটটা কেমন হয়ে গিয়েছিল। এবার একটু স্বস্তি পেলাম। দক্ষিণেশ্বরের রসগোল্লা স্বামীজির খুব পছন্দের ছিল। একবার নাকি তিনি রসগোল্লার লোভে সিমলা থেকে পায়ে হেঁটে দক্ষিণশ্বরে এসেছিলেন।
লঙ্কা খাওয়ার কম্পিটিশনে বিবেকানন্দ, তার পর
নিজে যেমন খেতে ভালোবাসতেন, তেমনই রান্না করে খাওয়াতেও ভালোবাসতেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর রান্না করা ঝাল খাবার খেয়ে চোখে জল এসে যাওয়ার অবস্থা। রাতে খাওয়ার পর ধূমপানও ছিল বাঁধাধরা!
তখন তিনি স্বামী বিবেকানন্দ হননি, শুধুই নরেন্দ্রনাথ দত্ত। পড়াশোনা করছেন। পেটুক এবং খাদ্যরসিক বন্ধুদের নিয়ে পাড়ায় তৈরি করেছিলেন ‘পেটুক সঙ্ঘ’। বন্ধুদের কাছে স্বামীজি বলতেন, দেখবি একটা সময় আসবে যখন কলকাতার প্রত্যেক গলির মোড়ে মোড়ে পানের দোকানের মতো চপ-কাটলেটের দোকান হবে। স্বামীজির এই ভবিষ্যৎবাণী যে কতটা সত্যি হয়েছে, তা এখন আমাদের চারপাশ দেখলেই বোঝা যায়। চপ-কাটলেট-সিঙাড়া তাঁর খুব পছন্দের ছিল।
খাবার পাশাপাশি রান্না করতেও বেশ ভালোবাসতেন তিনি। মাংসের নানা পদ তিনি রান্না করতে পারতেন। শিকাগো যাত্রার আগে তৎকালীন বোম্বাইতে স্বামীজি ১৪ টাকা খরচ করে এক হাঁড়ি পোলাও রান্না করে শিষ্যদের খাইয়েছিলেন। নিজে হাতে রেঁধে নিবেদিতাকেও খাইয়েছিলেন। কলকাতার বিভিন্ন দোকানের চপ ও ফুলুরি তাঁর বিকেলের খাবার ছিল। স্বামীজি চপ ও কাটলেট খুব সুন্দর বানাতে পারতেন এবং তা বানিয়ে একাধিকবার তাঁর শিষ্যদেরও খাইয়েছেন। বেলুড় মঠে একবার স্বামীজি নাকি পেশাদার চপওয়ালাদের মতো চপ ও ফুলুরি বিক্রিও করেছিলেন। বিকেলবেলায় আলুর চপ, ফুলুরি আর মুড়ি না হলে স্বামীজির বিকেলের ভোজনটাই হত না। কড়া ঝালের চানাচুর তাঁর বিশেষ পছন্দের ছিল। তাঁর কাছে বেশিরভাগ সময়ই চানাচুরের প্যাকেট থাকত। তিনি যখনই একা থাকতেন শালপাতার ঠোঙা থেকে চানাচুর বার করে খেতেন এবং বালকের মতো আনন্দ পেতেন।
কাঁচালঙ্কা ছিল স্বামীজির পরম প্রিয়। একবার এক অবাঙালি সাধুর কাছে স্বামীজি সেই কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন। সেই সাধুর সঙ্গে তিনি লঙ্কা খাওয়ার কম্পিটিশন করেছিলেন। স্বামীজি কম্পিটিশনে টপাটপ করে বেশ কয়েকটি লঙ্কা খেয়ে ফেললেন, অপর দিকে সেই সাধু মাত্র দু’টি লঙ্কা খেয়েই কাঁদো কাঁদো। বিদেশি সাহেবদের লঙ্কা খাওয়া শেখাতেন স্বামীজি। একবার লন্ডনে থাকাকালীন স্বামীজির লঙ্কা খেতে ইচ্ছা হয়। তখন বিলেতে লঙ্কা পাওয়া খুবই কঠিন। স্বামীজি অনেক খুঁজে এক দোকানদারের কাছ থেকে তিন শিলিংয়ের বিনিময়ে তিনটি কাঁচালঙ্কা কিনেছিলেন। ঝাল খাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর ছোট ভাই মহেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, স্বামীজির অত্যন্ত প্রিয় ছিল তীব্র ঝাল। রামকৃষ্ণর মৃত্যুর পরে বরানগরে সাধনভজনের সময় প্রবল অনটন। দারিদ্র্য এমনই যে মুষ্টিভিক্ষা করে এনে তাই ফুটিয়ে একটা কাপড়ের ওপর ঢেলে দেওয়া হত। একটা বাটিতে থাকত নুন আর লঙ্কার জল। একটু ঝালজল মুখে দিয়ে এক এক গ্রাস ভাত উদরস্থ করা হত।
বিদেশে তিনি যেখানেই যেতেন নিজের কাছে রাখতেন ভারতীয় গুঁড়ো মশলা। একাধিকবার তিনি নানা বিদেশি অনুরাগীদের রান্না করে ভারতীয় খাবার খাওয়াতেন। বলাই বাহুল্য, তাঁর রান্নায় ঝালের আধিক্য ছিল খুবই বেশি। তাঁর রান্না খেয়ে ঝালের চোটে চোখে জল এসে যেত। স্বামীজির আমেরিকায় থাকাকালীন প্রাতরাশের তালিকা ছিল বেশ লম্বা। প্রথমেই খেতেন কমলালেবু এবং আঙুর। তার পর ডবল ডিমের পোচ সহযোগে দু’পিস টোস্ট। সব শেষে ক্রিম ও চিনি দিয়ে দু’কাপ কফি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে স্যুপ এবং মাংস বা মাছের সঙ্গে রাতের আহার সারতেন। ডেসার্ট হিসেবে মিষ্টি আর আইসক্রিম তো আবশ্যিক ছিল। খাওয়ার পর আবার জমিয়ে ধূমপানও করতেন।
স্বামীজির আমেরিকান শিষ্য এলিজাবেথ ডাচার তাঁকে একবার তাঁদের কটেজে আমন্ত্রণ জানান। নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ৫৩০ কিলোমিটার দূরে সেন্ট লরেন্স নদীর তীরে ওয়েলেসলি দ্বীপে ছিল সেই কটেজ। ১৮৯৫ সালের ১৮ জুন দশজন শিষ্যকে নিয়ে কটেজে আসেন স্বামীজি। সেখানে প্রথমে দেন বক্তৃতা। তার পর শিষ্যদের জন্য রান্না করলেন বাঙালি খাবার। নিজেও খেলেন, খাওয়ালেন সকলকে।




















