করোনা ভাইরাস বা COVID - 19
করোনা ভাইরাস বা কোভিড - ১৯ নিয়ে সারা পৃথিবীতে যে আজ তোলপাড় হচ্ছে, তা কিন্তু নতুন কেউ নয়। করোনা ভাইরাস হলো একধরনের ভাইরাস যা কিনা বহুদিন ধরেই মানুষের শরীরে এবং বিভিন্ন পশুর দেহে বসবাস করে আসছে। অনেক দেশেরই সাধারণ মানুষের লালারসে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। এটি দেখতে মুকুটের ( crown ) মত । Crown এর লাতিন প্রতিশব্দ Corona. তাই এই ভাইরাসের নামকরণ এরকম হয়েছে।
ভাইরাস, ল্যাটিন যার অর্থ নোংরা তরল বা বিষ। ভাবলে বিস্ময় লাগে , জিনিসটা নাকি একটা পিনের ডগায় যে জায়গা ধরে, তার হাজার হাজার ভাগের এক ভাগ সাইজের। অথচ তারা তান্ডবে দুনিয়া বিকল। এক দেশে সূচনার পর এখন গোটা গ্রহের ত্রাস। আবার এই একরত্তি জিনিসটা নাকি সজীব বস্তু নয়। মানে জড় ও জীবনের মাঝখানে। জীবের যে প্রধান গুন........ নিজে নিজে বঙশবৃদ্ধি এবং খেয়ে পরে বেঁচে থাকা, তা ভাইরাসের নেই। ওসব গুন ভাইরাস আয়ত্ত করে সজীব বস্তূর কোষে ঠাঁই পেলে। তখন সে প্রানী হয়ে উঠে। ভাইরাসের জিন থাকে এক আবরনের মধ্যে। সঙক রামনের সময় ঐ আবরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার কোনোও ভাইরাসের আবরন আছে, আবার কারও তা নেই। যাদের আছে, তারা স্বাভাবিক কারনেই ঋতুর ( তাপ, শুস্কতা ) উপর নির্ভরশীল। এমনকি দৈনিক আবাহাওয়ার পরির্তনেও ভাইরাসের খমতা বাড়িয়ে তাকে বেশি মারমুখী করে তোলে। সাধারণত বাতাসের অপেক্ষিক আদ্রর্তা বাড়লে ভাইরাস কমজোরি হয়। করোনা ভাইরাসেরও আবরন আছে। সেটা কি গ্রীষ্মের দাবদাহে কাবু হবে? এর উত্তর এখনো অজানা। করোনা ভাইরাস গোত্রের আর দুই রোগ.. সার্স এবং মার্স... কম সময়ের মধ্যে দাবিয়ে দেওয়া গিয়েছিল বলে , ঋতু নির্ভর কিনা তা পরীক্ষা করা যায়নি। তবে এই ভাইরাসের আচরন ইনফ্লুয়েঞ্জার মত , শীতে পালোয়ান-- গরমে কাবু।
ভাইরাস, ল্যাটিন যার অর্থ নোংরা তরল বা বিষ। ভাবলে বিস্ময় লাগে , জিনিসটা নাকি একটা পিনের ডগায় যে জায়গা ধরে, তার হাজার হাজার ভাগের এক ভাগ সাইজের। অথচ তারা তান্ডবে দুনিয়া বিকল। এক দেশে সূচনার পর এখন গোটা গ্রহের ত্রাস। আবার এই একরত্তি জিনিসটা নাকি সজীব বস্তু নয়। মানে জড় ও জীবনের মাঝখানে। জীবের যে প্রধান গুন........ নিজে নিজে বঙশবৃদ্ধি এবং খেয়ে পরে বেঁচে থাকা, তা ভাইরাসের নেই। ওসব গুন ভাইরাস আয়ত্ত করে সজীব বস্তূর কোষে ঠাঁই পেলে। তখন সে প্রানী হয়ে উঠে। ভাইরাসের জিন থাকে এক আবরনের মধ্যে। সঙক রামনের সময় ঐ আবরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার কোনোও ভাইরাসের আবরন আছে, আবার কারও তা নেই। যাদের আছে, তারা স্বাভাবিক কারনেই ঋতুর ( তাপ, শুস্কতা ) উপর নির্ভরশীল। এমনকি দৈনিক আবাহাওয়ার পরির্তনেও ভাইরাসের খমতা বাড়িয়ে তাকে বেশি মারমুখী করে তোলে। সাধারণত বাতাসের অপেক্ষিক আদ্রর্তা বাড়লে ভাইরাস কমজোরি হয়। করোনা ভাইরাসেরও আবরন আছে। সেটা কি গ্রীষ্মের দাবদাহে কাবু হবে? এর উত্তর এখনো অজানা। করোনা ভাইরাস গোত্রের আর দুই রোগ.. সার্স এবং মার্স... কম সময়ের মধ্যে দাবিয়ে দেওয়া গিয়েছিল বলে , ঋতু নির্ভর কিনা তা পরীক্ষা করা যায়নি। তবে এই ভাইরাসের আচরন ইনফ্লুয়েঞ্জার মত , শীতে পালোয়ান-- গরমে কাবু।
JUNE ALMEIDA নামে এক মহিলা বৈজ্ঞানিক, যিনি কিনা প্রথম করোনা ভাইরাসকে identify করেন। ১৯৬৪ সালে পরিখ্যাগারে তিনি তাঁর ইলেকট্রনিক মাইক্রোসকোপের ভিতর -- একটা গোল ধূসর dot তার সাথে কতগুলি ছোট কাঁটা (spikes) লাগানো আছে -- এমন জিনিস দেখতে পান। তিনি আরও লখ্য করেন যে ঐ খোঁটা দিয়ে আটকানো গোটা জিনিসটা ঐ ভাইরাসের চারদিকে এক বর্নবলয় সৃষ্টি করেছে। তিনি ২০০৭ সালে মারা যান এবং করোনা ভাইরাসের সাথে প্রথম পরিচিতির কৃতিত্ব তাকেই দেওয়া হয়। এই ভাইরাসের সদস্য সংখ্যা চার। এগুলি হ'ল Alpha, Beta, Gamma এবং Delta Cov (CORONAVIRUS) । আলফা ও বিটা প্রজাতিটাই মানুষকে সঙক্রামিত করে।
এই ভাইরাসটির বিশেষত্ব কি ? এটির বিশেষত্ব হ'ল এটি নভেল। অর্থাৎ মানবশরীর এটিকে চেনে না । তা হলে এটি এলো কোত্থেকে। এখনও সঠিক যানা যায়নি। তবে অনুমান করা যায়, অনেক প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে এই ভাইরাস থাকে । তাদের কিছু হয়না, তাদের সঙ্গেই থাকে। অনেক সময় এই করোনা ভাইরাস গুলোয় প্রাকৃতিক নিয়মে এমন কিছু পরিবর্তন আসে যে এরা বাদুড় থেকে মানুষ বা অন্য স্তন্যপায়ী জন্তদের ভেতর চলে আসতে পারে। এই ঘটনাটিকে বলে "মিউটেশন" এবং এটি " রেন্ডম ইভেন্ট "। এই স্তন্যপায়ী প্রানীগুলি কখন কখনও মানুষের সাহচর্যে থাকে, যা চিনদেশের এই প্রানীদের বাজারগুলোতে বেশি মাত্রায় দেখা যায়। যদি এই মিউটেশনর সময় মানুষ সাহচর্যে থাকে, তবে এই ভাইরাস চট করে ঢুকে যেতে পারে মানব শরীরে, আর যে এখানে একেবারে নতুন। তাঁর কয়েকটি শক্তি থাকলেই জন্ম দিতে পারে মহামারীর বা অতিমারির। মানুষের শরীরে কোনও ধারনাই থাকে না একে নিয়ে কী করবে। আর সে ছড়িয়ে পড়তে পারে দূরদূরান্তে, মানবসভ্যতার অসাধারণ জনসংযোগের হাত ধরে।
১২ই ডিসেম্বর ২০১৯। সেদিনই প্রথম চিনের উহান প্রদেশ থেকে এক ধরনের নিউমোনিয়া রিপোর্ট করা হলো যার কারণ অজানা। এর পরেই চিনের হুবেই প্রদেশেও এর পার্দুভাব দেখা দিল। আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে লাগলো। সন্দেহ করা হ'ল এটি উহানের সামুদ্রিক বাজার থেকে ছড়িয়েছে। যদিও তথ্যটি সম্পূর্ণ confirmed নয়। যাইহোক ১লা জানুয়ারি ২০২০ থেকে সেই বাজার বন্ধ করে দিল চীন। ৩রা জানুয়ারি ২০২০ বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা আমাদের দেশকে এই নতুন ধরনের নিউমোনিয়া সম্বন্ধে সতর্ক করে দিল। যদিও তখন পর্য্যন্ত নিউমোনিয়ার আসল কারন সম্বন্ধে কেউ যানে না। এর পর ৭ই জানুয়ারি। ওই দিন সকলে জানতে পারলো এক নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস এসেছে । ভাইরাসের নামকরণ হ'ল nCov অর্থাৎ Novel Coronavirus ( Novel = New ). রোগটার নাম দেওয়া হলো COVID - 19 অর্থাৎ Coronavirus Disease 19 ( 19 = 2019, অর্থাৎ যে বছর থেকে রোগটা ছড়াচ্ছে )।
হয়তো অনেকেই জানেন না, ২০০২ সালের যে মহামারীটি হয়েছিল, সেটিও ছিল করোনা ভাইরাসের। তবে অন্য প্রজাতির। সেবার Civet Cat ( ভাম / খাটাশ ) থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে SARS ( Severe Acute Respiratory Syndrome ) নামক একটি শ্বাসনালীর রোগ ঘটিয়েছিল। এই ঘটনার সূত্রপাতও চিন। চিনে জন্ত জানোয়ারদের খোলা বাজার থেকে সেটি আরেকটি প্রানীর মধ্যে আসে এবং তারপর ছড়িয়ে পরে মানুষের মধ্যে। আবার ২০১২ সালে দ্বিতীয় ঘটনা। তাও করোনা ভাইরাস থেকে। এবার আর SARS নয়। এবার MARS অর্থাৎ Middle East Respiratory Syndrome। ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রাচ্যে। বিশেষ করে সৌদি আরবে। দায়ী ছিল উট। দুটি ঘটনার কোনোটাই মহামারীর পর্যায় পৌঁছায়নি বা Pandemic অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী মহামারীর আকার ধারণ করেনি। সার্সের অতিমারী হওয়ার ক্ষমতা ছিল । কিন্তু কিছুদিন কয়েকটি দেশে ৭৭৪ জনের মৃত্যু ঘটিয়ে বেমালুম উড়ে গেল পৃথিবীর বুক থেকে। প্রশ্ন, সার্স হঠাৎ চলে গেল, কোভিড ১৯ যাচ্ছে না কেন ? দুটি তো প্রায় সমানই। উত্তরটা লুকিয়ে রয়েছে এদের প্রকৃতিতে।
প্রথমত বলতে হয় ইনকিউবেশন পিরিয়ডের কথা। জীবাণু ঢোকার ক'দিন পর থেকে শরীরে উপসর্গ দেখা যাবে, সেটাই ইনকিউবেশন পিরিয়ড। তার মানে এটা যদি কম হয়, তবে রুগী তাড়াতাড়ি উপসর্গ নিয়ে আসবে আর অসুখের কারণে তারাতাড়ি বাড়ীতে বসে যাবে, মানে ছড়াতে পারবে কম। এই সময়ের গড় ছিল ৭ দিন। আর কোভিডের সেটা ১৪ দিন। মানে কোভিড রুগীর সঙক্রামন হওয়ার পরেও বেশ কিছু দিন উপসর্গ নেই। মানে ধরা পড়ছে না। আর এতটা অসুস্থ হয়ে পড়ছে না যে বাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে চলাফেরা না করে। আর এই সময়টায় সে জীবাণু ছড়াচ্ছে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময়টাতেই তার সংক্রামন ঘটানোর সম্ভাবনা বেশি। আবার এ রকমও রোগী পাওয়া গেছে, যাদের কোনো উপসর্গই নেই, কিন্তু এরা রোগ ছড়াতে সখ্খম। এদের কে বলা হয় Asymptomatic Carrier. আর ঠিক এই কারণেই কোভিড নিজেকে ছড়াতে অনেক বেশি সখ্খম।
আর একটি কারন হ'ল মৃত্যু হার। সার্সের মৃত্যু হার অনেক বেশি ছিল। প্রায় দশ শতাংশ। করোনা তার চাইতে অনেকটাই কম। ভাইরাসটি যে রুগীদের ধরেছে, তাদের অনেকেরই যদি মৃত্যু হয় , তবে রোগ ছড়ানোর সম্ভবনা কমে যায় স্বাভাবিকভাবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে গেলে যে যে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে :-
(১) HAND HYGIENE : এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাতটা ভালোকরে ধুতে হবে। একবার নয়, বারবার ......... যতবার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া alcohol-based hand sanitizer ব্যবহার করতে পারেন। যদি hand sanitizer না থাকে তাহলে সাবান কাছে রাখবেন এবং প্রয়োজন পড়লেই সেটা দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। হাত না ধুয়ে কিছু খাবেন না, এমনকি চোখও চুলকাবেন না। অফিস, কাছাড়ি বা বাড়ীর বাইরের লোকজনের সাথে যতটা সম্ভব hand contact এড়িয়ে চলুন।
(২) COUGH ETIQUETTE & RESPIRATORY HYGIENE : হাঁচি অথবা কাশির মাথা ঘুরিয়ে হাচবেন বা কাশবেন। হাঁচি/কাশির সময় নাক এবং মুখের উপর টিসু পেপার ধরবেন। মাস্ক সবসময় ব্যবহার করবেন। যদি মাস্ক পরে থাকেন তবে ওই অবস্থাতেই হাচবেন / কাশবেন। পরে সেই মাস্ক খুলে , নিরাপদ জায়গায় রেখে , handwashing করে তবেই আরেকটা মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরার পর মাস্কের উপর আর হাত দেবেন না।
![]() |
| আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। |
(৩) SOCIAL DISTANCING : জনবহুল জায়গায় যাবেন না অথবা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। আত্মীয় কুটুম্বিতা বন্ধ রেখে অসামাজিক হয়ে যান কিছুদিনের জন্য।
যতটা সম্ভব নিজেকে গৃহবন্দী করে ফেলুন। খুব দরকার ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না।
![]() |
| সুস্থ থাকতে হলে গৃহবন্দী থাকতে হবে। |
(৪) অন্যান্য প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা :: --
* Hand-to-hand contact - এর দ্বারা রাস্তায় যে সব খাবার খান সেগুলি খাবেন না।
* সিগারেট/বিড়ির নেশা থাকলে লুজ সিগারেট-বিড়ি কিনবেন না। গোটা প্যাকেট কিনে প্যাকেটটা hand sanitizer দিয়ে একটু বুলিয়ে নেবেন।
* রাস্তায় যত্রতত্র থুতু / কফ ফেলবেন না।
![]() |
| এদের চেতনা বোধ কবে আসবে ? |
* বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে জামাকাপড় ছেড়ে ফেলবেন।
* বাইরে থেকে কোনো অতিথি / আত্মীয় বাড়ীতে এলে তাঁকে আগে hand wash করতে বলবেন। বিছানায় বসাবেন না। যদি একান্তই বিছানায় বসাতে বাধ্য, তাহলে বিছানার চাদর কেচে নেবেন। তার সামনে কিছু দূরত্ব রেখে বসুন।
* বাইরে থেকে এসে মোবাইল/পেন/পার্স/ব্যাগ ইত্যাদি জিনিস গুলো hand sanitizer দিয়ে এক পোচ বুলিয়ে নেবেন।
* কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না, প্রশয় দেবেন না এবং ছড়াবেন না। সরকার থেকে প্রকাশিত খবর/তথ্য/বার্তা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে প্রাপ্ত কোনো তথ্য ছাড়া এই সঙক্রান্ত অন্য কিছু পোষ্ট/শেয়ার করবেন না। গুজবে একটা false sense of security তৈরি হয় মানুষের মনে, যা কিনা অতি অতি ভয়ংকর।
* করোনা ভাইরাসের pH factor সাধারণত ৫.৫ থেকে ৮.৫ হয়ে থাকে। তাই এই ভাইরাস দমনের জন্য এর থেকে বেশী pH factor সম্বলিত খাবার খাওয়া যেতে পারে। যেমন :: লেবু ৯.৯, রসুন ১৩.২, আম ৮.৭, চুন ৮.২, Avacado (নাশপাতির মত একপ্রকার ফল ১৫.৬, আনারস ১২.৭, কমলালেবু ৯.২ ইত্যাদি।
* গরম চা দিনে তিন-চার বার আর বারবার গরম জল খাবার চেষ্টা করুন।
* সচেতন হন, সচেতন করুন। মনে রাখবেন, একমাত্র সচেতনাতাই পারে আমাদের এই ভয়াল বিপদ থেকে রক্ষা করতে।
![]() |
| সমাজ থেকে এদের কে বহিষ্কার করুন। |
* সচেতন হোন, সরকারের সাথে সহযোগিতা করুন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে যুক্ত মানুষদের নিজের লোক ভাবুন এবং তাদের উপর পূর্ণ ভরসা রাখুন।
![]() |
| সরকারি কার্যকলাপে উৎসাহ দিন। |
* নিজে বাঁচুন ও অপরকে বাঁচান।
সাধারণ ভাবে চিনবেন কিভাবে ?
প্রাথমিক লক্ষণ অবশ্যই জ্বর। সমস্ত জ্বরের ধরন এক নয়। কিন্তু কমন কোল্ড, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনা , তিনটি খেত্রেই সমস্যার উৎস ভাইরাস। লখ্খনবিধি দেখে এদের কে একটু আন্দাজ করা যেতে পারে।
করোনা মোকাবেলায় প্রাপ্তি :
করোনা মোকাবেলায় নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার ফলে কমেছে যানচলা। তার আশু ফল , বায়ুদূষণ হ্রাস। দিল্লিতে বায়ুদূষণ ৩০ বছরে এত কম কখনও হয়নি। রোমে গত বছরের তুলনায় কমেছে ৫০ শতাংশ। আমেরিকার হিসেবে, বাতাসে খ্যতিকর নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ কমেছে ৩০ শতাংশ। গত পাঁচ বছরের তুলনায় প্যারিস, সিডনি, রিয়ো ডি জেনেইরোর, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং বেঙ্গালুরু শহরে বায়ুদূষণ অনেক মাত্রায় কমেছে। ১২৫ কি মি দূর থেকেও হিমালয় দেখা যাচ্ছে। ৩০ বছরে এই প্রথম বার। এই সব তথ্য স্বস্তিদায়ক হত, যদি তা সাময়িক না হয়ে স্থায়ী হতে।
করোনা মোকাবেলায় আর এক তথ্য রীতিমতো চিন্তার। শুধু উহান শহরেই চিন কতৃপক্ষ ডিসইনফেকট্যান্ট ছড়িয়েছেন ২০০০ টন। নর্দমা পথে ওই পরিমাণ রাসায়নিক জলে মিশে জলজ খতি ভেবে চিন্তিত পরিবেশবিদরা। খতি দু ভাবে। জীবকোষের দেওয়ার নষ্ট। রাসায়নিক পদার্থের সাথে জলজ নানা পদার্থের বিক্রিয়ায় খতিকর দ্রব্য উৎপাদন। আরেকটি হ'ল নানা প্রকার খতিকর অ্যসিডের সৃষ্টি এবং এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন যা কিনা ক্যানসার উদ্রেককারী বিষ বলে পরিচিত। তাই বায়ুদূষণের সাময়িক হ্রাস ততটুকু আনন্দদায়ক, জলদূষণের সুদূরপ্রসারী বৃদ্ধি কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি উদ্বেগজনক। এরই নাম পরিবেশ।
করোনা মোকাবেলায় আর এক তথ্য রীতিমতো চিন্তার। শুধু উহান শহরেই চিন কতৃপক্ষ ডিসইনফেকট্যান্ট ছড়িয়েছেন ২০০০ টন। নর্দমা পথে ওই পরিমাণ রাসায়নিক জলে মিশে জলজ খতি ভেবে চিন্তিত পরিবেশবিদরা। খতি দু ভাবে। জীবকোষের দেওয়ার নষ্ট। রাসায়নিক পদার্থের সাথে জলজ নানা পদার্থের বিক্রিয়ায় খতিকর দ্রব্য উৎপাদন। আরেকটি হ'ল নানা প্রকার খতিকর অ্যসিডের সৃষ্টি এবং এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন যা কিনা ক্যানসার উদ্রেককারী বিষ বলে পরিচিত। তাই বায়ুদূষণের সাময়িক হ্রাস ততটুকু আনন্দদায়ক, জলদূষণের সুদূরপ্রসারী বৃদ্ধি কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি উদ্বেগজনক। এরই নাম পরিবেশ।
এই মহামারীর ভবিষ্যত কি ??
প্রতিষেধকের জন্য চলছে সারা বিশ্বে হাহাকার। তার মধ্যে আবার হাভার্ডের গবেষকদের আশঙ্কা, আগামী শীতে নতুন করে ফিরে আসবে কোভিড-১৯। তবে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। কভভভ্যাকসিনের খোঁজে মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীখা বা হিউম্যান ট্রায়েল শুরু করেছেন তাঁরা। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৫১০ জন সুস্থ ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাসেবীকে হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রথম ভ্যাকসিন নেন এলিসা গ্রানাটো। তিনি একজন বিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন বিঞ্জান গবেষণায় সাহায্য করতেই তিনি ট্রায়েলে অঙশ্ নিয়েছেন। গবেষক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সারা গিলবার্ট। অন্যান্য সদস্যরা হলেন অ্যন্ড্রু পোলির্ড, সান্ডি ডগলাস, টেরেসা ল্যাম্ব এবং অ্যড্রিয়ান হিল। বিঞ্জানীদের আশা "ফাইনাল পরীক্ষা" সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিলে যাবে প্রতিষেধক। তাঁরা সাফল্যের আশা রাখছেন ৮০ শতাংশ। অক্সফোর্ডের তৈরি এই ভ্যাকসিনটার নাম "চ্যাডক্স ১" । এটি একটি ' অ্যডিনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিন ' । অ্যডিনোভাইরাস একটি সাধারণ সর্দি-জ্বরের ভাইরাস। শিম্পাঞ্জীদের থেকে তৈরি। ভাইরাসটিকে ভেক্টর বা বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্রিটেনের তিনটি ওষুধ প্রস্তুত কারী সংস্থা অক্সফোর্ডের সাথে যুক্ত হয়েছে। তাছাড়াও ইউরোপের দুটি, একটি ভারতের ও একটি চিনের সংস্থা সঙ্গে রয়েছে। ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে তা কাদের আগে দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে ব্রিটিশ সরকার।
তবে এ দলের বৈঞ্জানিক পোলার্ড একথাও জানিয়েছেন যে ........... খুবই জটিল প্রক্রিয়া। ফলে গোটা বিশ্বকে সুস্থ করার জন্য যে পরিমাণ প্রতিষেধক প্রয়োজন , তা মিলতে হয়তো এ বছরের শেষ হবে। তবে খুবই আশাবাদী পোলার্ড সহ টিমের সকল সদস্যরা।............এখন দেখা যাক কি হয় !!


























khub e bhalo lekha aar sundor initiative
ReplyDeleteধন্যবাদ।
DeleteDarun
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteধন্যবাদ।
Deleteবিশ্লেষণধর্মী লেখা। অনেক information পাওয়া/জানা গেল। খুবই ভালো লাগলো। আরো লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
ReplyDeleteSnehasish Da, khub sundor uposthapon.
ReplyDeleteOnek details e jante parlam.Aro khoborer opekkhyai roilum