Sunday, 11 July 2021

মহাশক্তি মা কামাখ্যা

 




🌺মহাশক্তি🌺আদ্যাশক্তি🌺পরমা প্রকৃতি🌺


কামাখ্যা মায়ের মুখ ১৫ বছরে একবার দর্শন পাওয়া যায়, মায়ের মুখ সবসময়ই ফুল দিয়ে ঢাকা থাকে। মায়ের চোখ দুটি একদম চিন্ময় জ্বলজ্বল করে।

অসমের নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামরূপ কামাখ্যা ৫১ পীঠের অন্যতম এক পবিত্র পীঠস্থান। বিষ্ণুচক্রে এখানে দেবী সতীর যোনি পতিত হয়েছিল। কথিত আছে যোনিরূপ যে প্রস্তরখণ্ডে মা কামাখ্যা অবস্থান করছেন, সেই শিলা স্পর্শ করলে মানুষ মুক্তিলাভ করে।

কামাখ্যা মায়ের প্রথম মন্দির নির্মাণ করেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। ভগবান শিবের নয়নাগ্নিতে কামদেব ভস্ম হয়ে বিকৃত চেহারা প্রাপ্ত হলে, এই স্থানে এসে তিনি পূর্ব রূপ ফিরে পাবার জন্য মা কামাখ্যার তপস্যা করেন। সেই থেকে এই পীঠ কামদেবতা পূজিত "কামাখ্যা পীঠ" নামে খ্যাত।

কামাখ্যা মায়ের বর্তমান মন্দির কোচরাজ বিশ্বসিংহ দ্বারা নির্মিত। কালিকাপুরাণে কামাখ্যাপীঠের বর্ণনা আছে। বলা হয় মা সতীর যোনিদেশ এই স্থানে পতিত হলে, মায়ের সেই অঙ্গ ত্রিদেব মিলেও ধারণ করতে পারেন নি। সেই স্থান রসাতলে যাচ্ছিল। তখন দেবতাদের প্রার্থনায় মা ভগবতী প্রকট হয়ে নিজেই নিজের অঙ্গকে ধারণ করেছিলেন।

কামাখ্যা মায়ের ভৈরব উমানন্দ। ব্রহ্মপুত্রের মাঝে একটি পাহাড়ে অবস্থিত ভৈরবের মন্দির। বলা হয় দেবী উমার আনন্দের জন্য ভগবান শিব এখানে লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হন। তাই এঁনার নাম উমানন্দ।

দেবী কামাখ্যার পঞ্চ মূর্তি ও অষ্টযোগিনী আছে। পঞ্চ মূর্তি হল- কামাখ্যা, কামেশ্বরী, ত্রিপুরা, সারদা, মহোৎসহা। অষ্টযোগিনী রা হলেন- কটীশ্বরী, গুপ্তকাশী, শ্রীকামা, বিন্ধ্যবাসিনী, পাদদুর্গা, দীর্ঘেশ্বরী, ধনস্থা ও প্রজটা।

কামাখ্যা ধামে অম্বুবাচী কে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে। এই সময় বহু সাধু সন্তদের আগমন হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে আষাঢ় মাসে রবি মিথুন রাশিস্থ আর্দ্রা (৬) নক্ষত্রের প্রথমপাদে অর্থাৎ এক চতুর্থাংশ  (৩°|২০') স্থিতিকালে বসুমাতা অর্থাৎ পৃথিবী ঋতুমতী হন। এই সময়কে “অম্বুবাচী” বলে।

অম্বুবাচী সময় দেবী কামাখ্যা ঋতুমতী হন। সে জন্য কামাখ্যা মন্দিরের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়৷ তখন শুরু হয় অম্বুবাচী প্রবৃত্তি। অম্বুবাচী কে কেন্দ্র করে মন্দির ঘিরে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। প্রচুর ভক্তসমাগম হলেও সে সময় দেবী দর্শন নিষিদ্ধ। ঠিক তিন দিন পরে সেটা শেষ হয়, সেটা হল অম্বুবাচী নিবৃত্তি। উত্‍সবের চতুৰ্থ দিন মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবীকে স্নান করিয়ে পূজা শেষ করা হয়। এর পর ভক্তদের দেবী দর্শনের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়।

কামাখ্যা মায়ের অম্বুবাচী চলাকালীন রক্তবস্ত্রের মাহাত্ম্য অনেক। এই বস্ত্র ধারণ করলে তান্ত্রিক কর্ম করলে তা সফল হয়। যোগিনী তন্ত্রে লিখিত আছে --

কামাখ্যাবস্ত্রমাদায় কপ- পূজাং সমাচরেৎ ।

পূর্ণকামং লভেদ্দেবী সত্যং সত্যং ন সংশয় ॥

(কুব্জিকা তন্ত্র/সপ্তম পটল) 

অর্থাৎ- উক্ত রক্তবস্ত্র শরীরে ধারণ করিলে অভীষ্ট ফল লাভ হয়, তদুপরি কামাখ্যার রক্তবস্ত্র শরীরে ধারণ করিয়া অন্যত্র জপ, পূজা করিলেও পূর্ণকাম হইয়া থাকেন।

অম্বুবাচীর মুহূর্তে আপনাদের কাছে দিলাম মা কামাখ্যা ধ্যানমন্ত্র, স্তোত্রম্ ও প্রণাম মন্ত্র। ইহা সত্যি দুর্মূল্য ও দুর্লভ, পাঠ করুন মা এর কৃপায় মঙ্গল হবেই। একসময় এই সব গুপ্ত ছিল আজ মা এর কৃপায় তা তুলে দিলাম আপনাদের কাছে, সবার মঙ্গল হোক মা কামাখ্যা ও উমানন্দ ভৈরব এর রাতুল চরণে এই প্রার্থনা।





🕉️🌷 কামাখ্যা ধ্যানমন্ত্র --

রবিশশিয়ুতকর্ণা কুংকুমাপীতবর্ণা

মণিকনকবিচিত্রা লোলজিহ্বা ত্রিনেত্রা ।

অভয়বরদহস্তা সাক্ষসূত্রপ্রহস্তা

প্রণতসুরনরেশা সিদ্ধকামেশ্বরী সা ॥ ১॥


অরুণকমলসংস্থা রক্তপদ্মাসনস্থা

নবতরুণশরীরা মুক্তকেশী সুহারা ।

শবহৃদি পৃথুতুঙ্গা স্বাঙ্ঘ্রিয়ুগ্মা মনোজ্ঞা

শিশুরবিসমবস্ত্রা সর্বকামেশ্বরী সা ॥ ২॥


বিপুলবিভবদাত্রী স্মেরবক্ত্রা সুকেশী

দলিতকরকদন্তা সামিচন্দ্রাবতংসা ।

মনসিজ-দৃশদিস্থা য়োনিমুদ্রালসন্তী

পবনগগনসক্তা সংশ্রুতস্থানভাগা ।

চিন্তা চৈবং দীপ্যদগ্নিপ্রকাশা

ধর্মার্থাদ্যৈঃ সাধকৈর্বাঞ্ছিতার্থা ॥ ৩॥

🕉️🌺 কামাখ্যা স্তোত্রম্ --

জয় কামেশি চামুণ্ডে জয় ভূতাপহারিণি ।

জয় সর্বগতে দেবি কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ১॥

বিশ্বমূর্তে শুভে শুদ্ধে বিরূপাক্ষি ত্রিলোচনে ।

ভীমরূপে শিবে বিদ্যে কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ২॥

মালাজয়ে জয়ে জম্ভে ভূতাক্ষি ক্ষুভিতেঽক্ষয়ে ।

মহামায়ে মহেশানি কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ৩॥

ভীমাক্ষি ভীষণে দেবি সর্বভূতভয়ঙ্করি ।

করালি বিকরালি চ কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ৪॥

কালি করালবিক্রান্তে কামেশ্বরি হরপ্রিয়ে ।

সর্বশাস্ত্রসারভূতে কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ৫॥

কামরূপপ্রদীপে চ নীলকূটনিবাসিনি ।

নিশুম্ভ-শুম্ভমথনি কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ৬॥

কামাখ্যে কামরূপস্থে কামেশ্বরি হরিপ্রিয়ে ।

কামনাং দেহি মে নিত্যং কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ৭॥

বপানাঢ্যমহাবকত্রে তথা ত্রিভুবনেশ্বরি ।

মহিষাসুরবধে দেবি কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ৮॥

ছাগতুষ্টে মহাভীমে কামাখ্যে সুরবন্দিতে ।

জয় কামপ্রদে তুষ্টে কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ৯॥

ভ্রষ্টরাজ্যো য়দা রাজা নবম্যাং নিয়তঃ শুচিঃ ।

অষ্টম্যাঞ্চ চতুর্দশ্যামুপবাসী নরোত্তমঃ ॥ ১০॥

সংবত্সরেণ লভতে রাজ্যং নিষ্কণ্টকং পুনঃ ।

য় ইদংশৃণুয়াদ্ ভক্ত্যা তব দেবি সমুদ্ভবম্ ॥ ১১॥

সর্বপাপবিনির্মুক্তঃ পরং নির্বাণমৃচ্ছতি ।

শ্রীকামরূপেশ্বরি ভাস্করপ্রভে প্রকাশিতাম্ভোজনিভায়তাননে ।

সুরারি-রক্ষঃস্তুতিপাতনোত্সুকে ত্রয়ীময়ে দেবনুতে নমামি ॥ ১২॥

সিতাসিতে রক্তপিশাঙ্গবিগ্রহে রূপাণি য়স্যাঃ প্রতিভান্তি তানি ।

বিকাররূপা চ বিকল্পিতানি শুভাশুভানামপি তাং নমামি ॥ ১৩॥

কামরূপসমুদ্ভূতে কামপীঠাবতংসকে ।

বিশ্বাধারে মহামায়ে কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ১৪॥

অব্যক্তবিগ্রহে শান্তে সন্ততে কামরূপিণি ।

কালগম্যে পরে শান্তে কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ১৫॥

য়া সুষুম্নান্তরালস্থা চিন্ত্যতে জ্যোতিরূপিণি ।

প্রণতোঽস্মি পরাং ধীরাং কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ১৬॥

দংষ্ট্রাকরালবদনে মুণ্ডমালোপশোভিতে ।

সর্বতঃ সর্বগে দেবি কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ১৭॥

চামুণ্ডে চ মহাকালি কালি কপোলহারিণি ।

পাশহস্তে দণ্ডহস্তে কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ১৮॥

চামুণ্ডে কুলমালাস্যে তীক্ষ্ণদংষ্ট্রামহাবলে ।

শবয়ানাস্থিতে দেবি কামেশ্বরি নমোঽস্তু তে ॥ ১৯॥

🕉️🌸 কামাখ্যা প্রণাম মন্ত্র --

ত্বং আদ্যাদেবী কামাখ্যারুপেন জগত্মাতৃকা 

তত্ চরনারবিন্দ সর্বভূতানাং স্বর্মপয়ামি ॥১॥


কামাখ্যে বরদে দেবী নীলপর্ব্বত বাসিনী 

ত্বং দেবী জগতাং মাতর্যোনিমুদ্রে নমোহস্তুতে ॥২॥


🙏🏻 জয় মা 🌺 জয় মা 🌺 জয় মা 🙏🏻



আম্বুবাচি কী ? এর অর্থ কী ?

 

ভগবতী র ষোড়শ যাত্রা র মধ্যে অন্যতম হলো আম্বুবাচি যাত্রা । অম্বুবাচী কথাটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ " অম্ব " ও " বাচি " থেকে। " অম্ব " শব্দের অর্থ হলো জল এবং " বাচি " শব্দের অর্থ হলো বৃদ্ধি । গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ধরিত্রী যখন শুকিয়ে যায়, আষাঢ়ের বৃষ্টি নব জল ধারার আশীর্বাদ নিয়ে পৃথিবী মাতা কে সিক্ত করে.. ধরিত্রী মাতার মাটি বীজ ধরনের উপযুক্ত হয় , সেই সময় টিকেই বলা হয় অম্বুবাচী।

অনেকের বিশ্বাস এই সময় আরাধ্য দেবতার পুজো করতে নেই, স্পর্শ করতে নেই, ঢেকে রাখতে হয়। এই বিশ্বাস টি কি ঠিক ?  এই দিনগুলিতে আমাদের কর্তব্য দেবীকে বিশেষভাবে যত্নে  রাখা । এমন ধারণা ঠিক নয় যে দেবী এইসময় অশুচি বা অস্পৃশ্যা হয়ে যান । অনেকে এই সময় মায়ের নিত্যসেবাও বন্ধ করে দেন , যা একেবারেই অনুচিত । এই দিনগুলিতে আমাদের কর্তব্য দেবীকে বিশেষভাবে যত্নে রাখা। উপরন্তু যথাসম্ভব একান্ত পরিবেশে নির্জন বাসের ব্যবস্থা করা উচিত । কোনভাবেই আমাদের কোন আচরণে মায়ের বিরক্তির উদ্রেক যেন না হয় সেদিকে সর্বদাই খেয়াল রাখতে হবে । সংকল্প বিহীন নিত্য পূজাপাঠ ও আচার অনুষ্ঠান যথাসম্ভব অনাড়ম্বর ভাবে পালন করা উচিত । এই সময় বেশী করে জপ-ধ্যান ইত্যাদি করা উচিত , এই কালে জপ করলে বহুগুণ ফল লাভ হয় । ভূমি কর্ষণ বা ভূমিতে কোনরকম আঘাত করা এবং ক্ষৌরকর্ম ইত্যাদি এই তিন দিন নিষিদ্ধ । সকল সাধক ও ভক্তগণেরই এই সময় সংযত জীবনযাপন করা একান্ত কর্তব্য ।

আম্বুবাচির স্থিতিকাল কতক্ষন ?


উত্তরে , রঘুনন্দন ভট্টাচার্য  তাঁর " অষ্টবিংশতি তত্ত্ব " নামক গ্রন্থে তিথিতত্ব ও কৃত্যতত্বে অম্বুবাচি ও তার স্থিতিকাল নিয়ে লিখেছেন : - 

             সূর্য আষাঢ় মাসে যে দিন যে সময়ে মিথুন রাশিতে আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদে গমন করে সেই সময়কাল থেকে মাতৃস্বরূপা পৃথিবী এবং আদ্যাশক্তি মহামায়া ঋতুমতী বা রজ্বসলা হয় ইহাই অম্বুবাচির কাল শুরু হয় । 

সূর্যের মিথুন রাশি গমনের কাল থেকে শুরু করে বিংশতিদন্ডাধিক্ তিনদিন বা তিনদিন কুড়িদন্ড কাল সময় অম্বুবাচির স্থিতি ।

আম্বুবাচি কালে কী কী কর্তব্য ?


উত্তর পাওয়া যাবে বামকেশ্বর তন্ত্রের ৫৫ তম পটলে । যথা :- 

      "   আষাঢ়ে প্রথমে দেবী অম্বুবাচী দিনত্রয়ং ।

         সংগোপন গৃহে দেবিং স্থাপয়েদ্বস্ত্র বেষ্টনে ।।

        রাত্রৌ মহানিশা যোগে পঞ্চাচারেণ দেশিকঃ।

         পূজয়িত্বা বলিং দত্বা হোময়িত্বা বিহারয়েৎ।।   "


অর্থাৎ : - 

            আষাঢ়ের প্রথমে অম্বুবাচী দিবসত্রয়ে দেবীকে গুপ্তভাবে বস্ত্রাদি দ্বারা বেষ্টন করিয়া ( বেষ্টন অর্থে চোখমুখ ঢেকে কাপড় চাপা দিয়ে রাখতে বলা হয় নি ) রাখিবে । অম্বুবাচী নিবৃত্তি হইলে সাধক মহানিশাতে পঞ্চতত্ত্ব  দ্বারা দেবীর পূজা করিয়া , বলিদানাদি , হোমাদি সম্পন্ন করিবে ।


তবে সাধারণ মানুষের কর্তব্য কী ? 

এই দিনগুলিতে আমাদের কর্তব্য দেবীকে বিশেষভাবে যত্নে রাখা । এমন ধারণা ঠিক নয় যে দেবী এইসময় অশুচি বা অস্পৃশ্যা হয়ে যান ।       অনেকে এই সময় মায়ের নিত্যসেবাও বন্ধ করে দেন , যা একেবারেই অনুচিত । এই দিনগুলিতে আমাদের কর্তব্য দেবীকে বিশেষভাবে যত্নে রাখা।  উপরন্তু যথাসম্ভব একান্ত পরিবেশে নির্জন বাসের ব্যবস্থা করা উচিত । কোনভাবেই আমাদের কোন আচরণে মায়ের বিরক্তির উদ্রেক যেন না হয় সেদিকে সর্বদাই খেয়াল রাখতে হবে । সংকল্প বিহীন নিত্য পূজাপাঠ ও আচার অনুষ্ঠান যথাসম্ভব অনাড়ম্বর ভাবে পালন করা উচিত । কিন্তু এই সময় বেশী করে জপ-ধ্যান ইত্যাদি করা উচিত , এই কালে জপ করলে বহুগুণ ফল লাভ হয় । ভূমি কর্ষণ বা ভূমিতে কোনরকম আঘাত করা এবং ক্ষৌরকর্ম ইত্যাদি এই তিন দিন নিষিদ্ধ । সকল সাধক ও ভক্তগণেরই এই সময় সংযত জীবনযাপন করা একান্ত কর্তব্য ।


        🌺 ।। কালী কালী দূর্গা দূর্গা ।। 🌺




Beginning of the yearly menstruation cycle of Mother Godesses ( Known as Ambuvachi ) . 

This form of mother is known as Mula Shakti , every individual will emerge from her and will disappear into her in the end of the time .  

(সংগৃহীত)

No comments:

Post a Comment