Sunday, 1 August 2021

শ্রাবণের সোমবার




🙏শ্রাবণ মাসের  প্রথম সোমবার🙏           🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿


বাবা তারকনাথ মন্দির হল হুগলি জেলার তারকেশ্বর শহরের একটি মন্দির। এটি দেবতা শিবের মন্দির। এই মন্দিরে শিবকে "তারকনাথ" নামে পূজা করা হয়। ১৭২৯ সালে নির্মিত এই মন্দিরটি একটি আটচালা মন্দির। মন্দিরের সামনে একটি নাটমন্দির আছে। মন্দিরের কাছে কালী ও লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দির আছে। শিবমন্দিরের উত্তর দিকে দুধপুকুর নামে একটি পুকুর আছে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এই পুকুরে ডুব দিয়ে স্নান করলে যাবতীয় মনস্কামনা পূর্ণ হয়।সারদা দেবী একাধিকবার এই মন্দিরে পূজা দিতে এসেছিলেন।
🌿🌿

স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা ভরমল্ল তারকেশ্বরের কাছে জঙ্গলে একটি শিবলিঙ্গের স্বপ্ন দেখেন। এরপর তিনি এই স্বয়ম্ভু লিঙ্গটি খুঁজে বের করেন। ১৭২৯ সালে "বাবা তারকনাথ" নামে পরিচিত এই লিঙ্গের উপর আধুনিক মন্দিরটি গড়ে ওঠে।
🌿🌿

সারাবছরই এই মন্দিরে তীর্থযাত্রীরা আসেন। বিশেষত সোমবারে এই মন্দিরে বেশি তীর্থযাত্রী সমাগম হয়। ফাল্গুন মাসে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) শিবরাত্রি ও চৈত্র মাসে (মধ্য এপ্রিল) গাজন উৎসবে প্রচুর তীর্থযাত্রী তারকেশ্বরে আসেন। শ্রাবণ মাস (জুলাই-অগস্ট) শৈবদের কাছে বিশেষ পবিত্র মাস। এই মাসের সোমবারগুলিতেও তারকেশ্বরে প্রচুর তীর্থযাত্রী আসেন।
🌿🌿

মহাশিবরাত্রি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে তারকেশ্বর মন্দিরে বিশেষ উৎসব হয়। প্রতি সোমবার হয় বিশেষ পূজা। তবে, শ্রাবণের সোমবারগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে তারকনাথকে গঙ্গোদকে স্নান করানোর উদ্দেশ্যে। বর্তমানে করোনা মহামারীর কারনে সমস্ত উৎসব বন্ধ আছে।
🌿🌿


আজ শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবার।

জয় বাবা কেদারনাথ🙏🏻🌿🌹

প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্রে মতে শ্রাবণ মাসে শিবের ক্ষমতা প্রায় ১০৮ গুণ বেড়ে যায়। তাই তো এই সময় উপোস এবং বিশেষ পুজোর আয়োজন করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।  এখন প্রশ্ন হল কী কী নিয়ম মেনে দেবাদিদেবের আরাধনা করলে এইসব উপকার মিলতে পারে? প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলি হল…
১. আকি চক্রকে অ্যাকটিভ করতে হবে: দেবের পুজো শুরু করার আগে একেবারে প্রথম কাজ হবে দেবের ছবি বা মূর্তির সামনে বসে চোখ বন্ধ করে এক মনে দুচোখের মাঝের অংশ, যেখানে আকি চক্র থাকে, সেই অংশে এক মনে ফোকাস করতে হবে। এমনটা করলে বিশেষ এই চক্রটি অ্যাকটিভ হবে। এই সময় এক মনে দেবের নাম নিলে আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যাবে যে সুফল মিলতে সময় লাগবে না।
২. অভিষেক স্নানের পালা: অকি চক্রকে অ্যাকটিভ করার পরের ধাপ হল গঙ্গা জল দিয়ে দেবকে ভাল করে স্নান করাতে হবে। আর যদি আপনার ঠাকুর ঘরে শিব ঠাকুরের মূর্তির পরিবর্তে ছবি থাকে, তাহলে পরিষ্কার একটা কাপড়, গঙ্গা জলে চুবিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ছবিটা ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয়, যে কোনও দেব-দেবীর আরাধনা করার সময় যদি তাঁর ছবি বা মূর্তি পরিষ্কার করে নেওয়া না হয়, তাহলে খারাপ শক্তির মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা পুজো করেও কিন্তু সুফল মেলে না।
৩. পঞ্চমৃত: এবার দুধ, দই, ঘি এবং মধু মিশিয়ে পঞ্চমৃত বানিয়ে ফেলুন। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল এই প্রসাদটি বানানোর সময় ভুলেও তাতে চিনি দেবেন না যেন! তবে যদি ইচ্ছা করে তাহলে অল্প করে গুড় দিতে পারেন।


৪. কাপড়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবের অরধানা করার যদি নতুন কোনও কাপড় তার সামনে রেখে পুজো শুরু করা হয়, তাহলে দেব বেজায় প্রসন্ন হন। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, তা হল সাদা রঙের সুতো দেবের সামনে রেখে পুজো করে যদি হাতে পারতে পারেন, তাহলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৫. ফুল, চন্দন এবং সুগন্ধি: এবার দেবের সারা শরীরে ভাল করে চন্দন লেপে তার সামনে ফুল পরিবেশন করে অল্প করে সুগন্ধি ছড়িয়ে দেবেন। কারণ সারা বাড়ি এবং ঠাকুর ঘর সুন্দর গন্ধে ভরে উঠলে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে থাকবে, বাড়তে থাকবে শুভ শক্তির মাত্রা। ফলে গৃহস্থে পবিত্রতার ছোঁয়া লাগবে। আর পবিত্র স্থানই তো দেবের স্থান, তাই না!


৬. ধূপ-ধুনো জ্বালান: দেবকে সাজানোর পর ধুপ-ধুনো জ্বালিয়ে মনে মনে কম করে ১০৮ বার “ওম নমঃ শিবায়”, এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করুন। ইচ্ছা হলে “ওম রুদ্রায় নমহঃ” মন্ত্রটিও জপ করতে পারেন
৭. সবশেষে: মন্ত্রচ্চারণ করে দেবের অরাধনা করার পর আরতি করে শেষ করতে হবে পুজো। এরপর সাতবার শিব ঠাকুরের ছবি বা মূর্তিকে প্রদক্ষিণ করতে করতে মনের ইচ্ছা জানাতে হবে সর্বশক্তিমানকে।

      🕉️-----#রামকৃষ্ণ🌺🙏🏻





🙏আজ শ্রাবনের তৃতীয় শুভ সোমবার
🙏

      🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿

সর্বোচ্চ স্তরে ভগবান শিবকে সর্বোৎকর্ষ, অপরিবর্তনশীল পরম ব্রহ্ম মনে করা হয়। শিবের অনেকগুলি সদাশয় ও ভয়ঙ্কর মূর্তিও আছে। সদাশয় রূপে তিনি একজন সর্বজ্ঞ যোগী। তিনি কৈলাস পর্বতে সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করেন। আবার গৃহস্থ রূপে তিনি পার্বতীর স্বামী। তার দুই পুত্র বর্তমান। এঁরা হলেন গণেশ ও কার্তিক। ভয়ঙ্কর রূপে তাকে প্রায়শই দৈত্যবিনাশী বলে বর্ণনা করা হয়। শিবকে যোগ, ধ্যান ও শিল্পকলার দেবতাও মনে করা হয়। এছাড়াও তিনি চিকিৎসা বিদ্যা ও কৃষিবিদ্যারও আবিষ্কারক।

শিবমূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল তার তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, অস্ত্র ত্রিশূল ও বাদ্য ডমরু। শিবকে সাধারণত ‘শিবলিঙ্গ’ নামক বিমূর্ত প্রতীকে পূজা করা হয়। সমগ্র সমাজে শিবপূজা প্রচলিত আছে। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রে বাংলাদেশের ও পাকিস্তানের কিছু অংশে শিবপূজার ব্যাপক প্রচলন লক্ষিত হয়। সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্রসমূহে শিব পূজা কে সর্বশ্রেষ্ঠও সর্বাধিক ফলপ্রদ বলে বর্ণনা করা হয়ে।
*********************
ওঁ নমঃ শিবায় 🌿🙏
হর হর মহাদেবায় 🌿🙏
জয় শিবোশম্ভু 🌿🙏
************


আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে প্রভুর কাছে  জগতের মঙ্গল কামনা করি 🙏🙏🙏...






সর্ব খর্বতারে দহে তব ক্রোধদাহ--
হে ভৈরব, শক্তি দাও, ভক্ত-পানে চাহো ॥
দূর করো মহারুদ্র   যাহা মুগ্ধ, যাহা ক্ষুদ্র--
মৃত্যুরে করিবে তুচ্ছ প্রাণের উৎসাহ ॥
দুঃখের মন্থনবেগে উঠিবে অমৃত,
শঙ্কা হতে রক্ষা পাবে যারা মৃত্যুভীত।
তব দীপ্ত রৌদ্র তেজে   নির্ঝরিয়া গলিবে যে
প্রস্তরশৃঙ্খলোন্মুক্ত ত্যাগের প্রবাহ ॥
পূজা পর্যায়..............

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।।



No comments:

Post a Comment