Friday, 28 March 2025

বহুলাড়ায় সিদ্ধেশ্বর শিব মন্দির

 সিদ্ধেশ্বর শিব মন্দির,  বহুলাড়া, বাঁকুড়া   





পশ্চিম বাংলার মন্দির স্থাপত্যের কথা বলতে গেলে যার নাম প্রথমেই উঠে আসে .... সে হ'ল বিষ্ণুপুর । এটা ঠিক যে বাংলার স্থাপত্যশৈলীর বিকাশে বিষ্ণুপুরের এক বিরাট অবদান রখেছে। তবে এই আবদান শুধুমাত্র বিষ্ণুপুরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় । এই উদাহরণ বিষ্ণুপুরের ঠিক বাইরে আশে পাশেও ছড়িয়ে রয়েছে। 






সে রকমই বাংলার এক গ্রামের নাম বহুলারা। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সি ডি ব্লকের ওন্দা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বহুলারা গ্রাম।  দ্বারকেশ্বর নদীর দক্ষিণে, এটি মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের থেকে প্রায় ২৫ কি মি বা ওন্দাগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় ৫ কি মি দূরে অবস্থিত।  এখানেই রয়েছে অনন্য স্থাপত্য শৈলী ও কাটা ইট এবং চুন-স্টুকো অলঙ্কার পরিচিত সিদ্ধেশ্বর শিব মন্দির।  মধ্যযুগীয় রেখা দেউল মন্দিরের সর্বোত্তম নমুনা হিসেবে এটিকে অনুমান করা হয়। মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুটের মতন। মন্দিরটির ভিত্তিমাত্রা প্রায় ২৩ বর্গফুটের মতন যা মন্দিরটিকে তার স্থাপত্য এবং অসাধারণ সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত করে তুলেছে। এটি আনুমানিক ৮ম -- ১১শ শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে বৌদ্ধ  / জৈন  মন্দির হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।  কিন্ত পরে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজারা এটিকে শৈব স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে পুন নির্মাণ করেছিলেন।  তবে এটি  কখন হিন্দুমন্দিরে রুপান্তরিত হয়েছিল তার কোনও নথিপত্র নেই। তাই শিবলিঙ্গ ছাড়া গর্ভগৃহে গনেশ,  জৈন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ এবং মহিসাসুরমর্দিনির  মূর্তি রয়েছে। নগ্ন জৈন দন্ডায়মান মূর্তিটি সেই সময়ের জৈন ধর্মের অস্তিত্বর স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। তবে যাই হোক এখানকার শিবলিঙ্গ সিদ্ধেশ্বর মহাদেব নামে পরিচিত।  মন্দিরটি পশ্চিমমুখী এবং ওড়িশার মন্দিরগুলির সাথে কিছু কিছু  মিল দেখা যায়। অতীতে কোনও এক সময়ে এর চূড়ার সর্ব্বোচ্চ অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।  সাম্প্রতিক কালে সরকার কিছু সংস্কার করা সত্ত্বেও মন্দিরের মূল অলংকরনে বেশিরভাগ অংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। 






মন্দিরের অভ্যন্তরীণ গর্ভগৃহটি একটি নিখুঁত বর্গাকার হলেও বাইরে থেকে এটি দেখা যায় না। কারণ বাইরের পৃষ্টটি  " রথ " শৈলীতে নির্মিত।  উত্তর ভারতীয় নাগর স্থাপত্য শৈলীর একটি উপাদান রথ। সেইজন্য এই মন্দিরটি এক অসাধারন চেহারা এবং দুর্দান্ত গভীরতা বহন করে। উড়িষ্যা বা খাজুরাহোর মন্দিরগুলি এই রকম রথ শৈলীতে নির্মিত এবং এই মন্দিরটিও ঐ রকম ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। 






বহুলাড়া মন্দিরের চারপাশের আবাসস্থল এবং যে ধর্মীয় ঢিবি রয়েছে সেগুলি দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান যে এটি প্রাচীনকালে একটি জৈন / বৌদ্ধ  কেন্দ্র ছিল। দেউলের পাশে ইট ও পাথরের তৈরী ঢিবিগুলি দেখে ধারনা করা হয় যে এগুলি বৌদ্ধস্তূপের ধ্বংসাবশেষ।  মনে করা হয় যে এখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুক বা ভিক্ষুণীদের দেহাবশেষ দাহের পর সমাহিত করা হত। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যে এই অঞ্চল অর্থাৎ বাঁকুড়া  অঞ্চল বৌদ্ধ  / জৈন ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত ছিল। মল্লরাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মন্দিরগুলি শিব মন্দিরে রূপান্তরিত হয়। 






ওন্দাগ্রাম রেল ষ্টেশনের কাছেই বহুলাড়া গ্রাম। তাই ষ্টেশন থেকে সাইকেল রিক্সা বা টোটোতে করে মন্দিরে যাওয়া যায়। কিন্ত এই পথের উপর নির্ভর না করায় শ্রেয়। কেননা এই পথে রেল পরিষবা এখনও যথেষ্ট নয়। তাই রেলে বা বাসে বাঁকুড়ায় এসে, সেখান থেকে বাসে করে ওন্দা বাস ষ্টপে নেমে রিকশা বা টোটোতে যাওয়া যেতে পারে মন্দিরে। এছাড়া যদি সড়ক পথে গাড়ি নিয়ে আসা যায় তবে ওন্দা মোড় থেকে ডানদিকের রাস্তা ধরে বহুলারা গ্রামে আসা যায়।







চৈত্র মাসে আজও বহুলারা শিবমন্দিরে তিন দিন ধরে গাজন উৎসব পালিত হয়। তাতে আঞ্চলিক ও দূরের শত শত ভক্ত যোগদান করে। এছাড়াও শিবরাত্রি আর বাংলার  নববর্ষ ধুমধামের সাথে পালিত হয়। মন্দিরটি গ্রামের এক মনোরম শান্তিপূর্ণ স্থানে অবস্থিত।  তাই আপনি যদি বাংলার গ্রামীণ জীবনের স্বাদ উপভোগ করতে চান তবে বহুলাড়া সিদ্ধেশ্বর শিব মন্দির দেখতে পারেন। আর আপনি যদি একটু ঐতিহাসিক মনোভাবাপন্ন হন অর্থাত আপনার ইতিহাস জানার আগ্রহ থাকে তবে অবশ্যই এটি আপনার সঠিক পচ্ছন্দের স্থান হবে।







Thursday, 13 March 2025

বঙ্গে সূর্য মন্দির

 

সোনাতপলের সূর্য মন্দির -- আলোকমন্দির  

বিশ্বে ভারতবর্ষ হ'ল এক রহস্যের দেশ হিসেবে পরিচিত। সেই রহস্যময় দেশ হিসেবে এক বিশেষ গৌরবও আছে। আর এই গৌরব আরও বাড়িয়ে তুলেছে তার প্রাচীন সূর্য মন্দিরগুলি। সবগুলি মন্দিরই সূর্যদেব সূর্যকে উৎসর্গীকৃত।ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে প্রায় প্রত্যেকটি মন্দিরই  প্রাচীন ভারতীয় শাসকদের দ্বারা বহু বছর আগে নির্মিত হয়েছিল।  এই মন্দিরগুলি ভারতীয় হিন্দুদের ধর্মীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে।




সূর্য মন্দির কি ?? সূর্য মন্দির বা সৌর মন্দির হ'ল এমন একটি ভবন যা ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন প্রার্থনা বা বলিদান...... যা সূর্য বা সৌর দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। এই ধরণর মন্দিরগুলো বিভিন্ন সংস্কৃতি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং ভারত, চীন,  জাপান , মিশর ও পেরু সহ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।  এর মধ্যে কিছু মন্দির ধ্বংসস্তূপে রয়েছে, খনন, সংরক্ষণ  বা পুনরুদ্ধার কাজ চলছে এবং কয়েকটি বৃহত্তর স্থানের অংশ হিসেবে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত। 



ভারতে বেশ কয়েকটি ( প্রায় ১৪টি ) উল্লেখযোগ্য সূর্য মন্দির রয়েছে। এর মধ্যে মেধরার সূর্য মন্দিরটি, যা কিনা গুজরাতে অবস্থিত। ১০২৬-২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এটি নির্মিত হয়েছিল।  চালুক্য রাজবংশের প্রথম ভীমসেনের শাসনকালে এর নির্মাণ হয়। এই মন্দিরের স্থাপত্য শৈলী মারু-গুর্জরা শৈলীর।  এটি পশুপতি নদীর তীরে অবস্থিত।




সূর্য মন্দির মাতন্ড..... যা জম্ম্-কাশ্মীরে অবস্থিত।  এটি একটি অসাধারণ মন্দির। কারকোটা রাজবংশ এটি নির্মাণ করেছিলেন ৮ম শতাব্দীতে। মন্দিরটির আশ্চর্যজনক খোদাই আজ ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে। মন্দিরটি মালভূমির উপর অবস্থিত হওয়ায়, এখান থেকে সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকার দৃশ্য দেখা যায়।




দক্ষিণার্ক মন্দির যা গয়ায় অবস্থিত।  হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বায়ু পুরাণে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। গয়ায় পিন্ডদান স্থানের কাছেই রয়েছে এই মন্দির।  আবার বিষ্ণুপদ মন্দিরটি এর কাছেই।  গয়ায় আরও দুটি সূর্য মন্দির রয়েছে..... সেগুলি হ'ল উত্তরকা মন্দির আর গয়াদিত্য মন্দির।  




তবে ভারতে সূর্য মন্দিরের কথা বললেই...... যে মন্দিরের কথা মাথায় আসে তা হল কোনারকের সূর্য মন্দির। এটি সাতটি বিস্মেয়ের একটি। ইউনেস্কো ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে কোণার্ক সূর্য মন্দির হ'ল একটি প্রাচীন  সূর্য মন্দির।  এটি পুরী থেকে ৩৫ কি মি দূরে অবস্থিত।  ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দিরে আপনি দেখতে পাবেন ছয়টি ঘোড়া দ্বারা পরিচালিত ২৪ চাকার সূর্যদেবের রথ। কিন্ত  আজ মন্দিরের বেশিরভাগ অংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।





তবে আজ আর পুরীর সূর্য মন্দিরের কথা নয়, এমন একটি সূর্য মন্দিরের কথা লিখছি যেটা কিনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেই। শোনা যায় এই মন্দির কোনারকের সূর্য মন্দিরের থেকেও প্রাচীন।  তাই আজ সে ন্যাশনাল হেরিটেজের  তকমায় পুরস্কৃত। কিন্ত কোথায় রয়েছে সেই মন্দির  ??  সেই মন্দির রয়েছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গেরই লাল মাটির দেশে, বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার অন্তর্গত সোনাতপল গ্রামে সোনাতপল সূর্য মন্দির।   সূর্য মন্দির বলা হয় কারন মন্দিরটি পূর্বমুখী হওয়ায় দিনের প্রথম সূর্যকিরণ এসে পড়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে। আলোকিত করে এই মন্দিরের গর্ভগৃহকে। তাই এটি সূর্য মন্দির নামে পরিচিত।  এই দেউলে আগে কোন দেবদেবী ছিল না। কিন্ত বর্তমানে একটি ত্রিশূল ও  শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হয়েছে।  দারকেশ্বর নদীর দক্ষিণ-পশ্চিমে, বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কি মি দূরে এই প্রাচীন গ্রাম সোনাতপল। সোনাতপলের সূর্য মন্দিরটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ও কিছুটা রহস্যময়। মন্দিরে লাগানো সরকারী বোর্ড থেকে জানা যায় আনুমানিক খ্রীস্টীয় একাদশ শতাব্দীতে মন্দিরটি তৈরী হয়েছিল।  ঔপনিবেশিক সময়ে তৈরী এটি ইটের রেখা দেউল। উচু ইটের ভিতের উপর তৈরী এই সূর্য মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১২০ ফুট। এত উচু মন্দির এই অঞ্চলে আর নেই।  এটি জেলার অন্যতম পুরাকীর্তি।




তবে কবে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এই মন্দির বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের তত্ত্বাবধনে গড়ে উঠেছিল। আবার একসময় বাঁকুড়া ছিল বৌদ্ধ ও জৈনদের বাস।  তাই এই অঞ্চলে রয়েছে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের নানা পুরাকীর্তির। এই মন্দিরের গায়ে অনেক উপরে দেখা যায় এক ছোট্ট বৌদ্ধ মূর্তি। তাই কেউ মত প্রকাশ করেন যে এই মন্দির বৌদ্ধ বা জৈনদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছিল।  ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখতে পায় যে সোনাতপল গ্রামের প্রাচীন নাম ছিল হামিরডাঙা। মন্দিরটির নির্মানকাল এগারো শতকে। শোনা যায় যে শালবাহন নামের কোনও এক রাজা এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।  তৎকালীন হামিরডাঙায় শাকদ্বীপি ব্রাহ্মণদের  বাস ছিল। তাঁরা সূর্যের উপাসনা করতেন।  তবে অন্য এক ঐতিহাসিকের মত যে জনশ্রুতির মাধ্যমেই ঐ রাজার নাম জানতে পারা যায়। ওন্দার কোথাও সেই রাজার কোনও চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সূর্য মন্দির যে জৈন বা বৌদ্ধ স্থাপত্য---- এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 




ট্রেনে যেতে হলে নিকটতম রেল ষ্টেশন বাঁকুড়া জংশন।  এখান থেকে দশ কি মি গাড়ী বা অটোতে যেতে পারেন। আর গাড়ি নিয়ে গেলে আরামবাগ- জয়পুর-বিষ্নুপুর-ওন্দা হয়ে কিছুটা গিয়ে ডান দিকের রাস্তা ধরে সোনাতপল গ্রামে পৌঁচ্ছাতে পারেন। এছাড়া বাঁকুড়া-বিষ্নুপুর রাস্তা ধরে ধলডাঙ্গার মোর থেকে বেকে এই মন্দিরে যেতে পারেন। 




হাজারো বছরের প্রাচীন এই মন্দিরের সংস্কার এখনই প্রয়োজন।  স্থানীয়দের দাবী...... এত পুরানো মন্দির আজ ভেঙে পরেছে সংস্কারের অভাবে। এখানে যাতায়াতের রাস্তা পর্যন্ত নেই।  আলপথ পেরিয়ে এই মন্দির দেখতে যেতে হয়। একখানা সরু রাস্তা থাকলেও বর্ষাকালে তা বেহাল হয়ে পরে। আগাছায় পরিপূর্ণ মন্দির।  এলাকাবাসী বারবার বিভিন্ন মহলে মন্দির সংস্কারের আবেদন  জানালেও কোনো কাজ হয়নি।   ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক হলেও সরকার শুধুমাত্র এলাকাটির চারপাশে প্রাচীর দিয়েছে। মন্দিরের অবস্থা বেশ জরাজীর্ন ও ভগ্নপ্রায়।  মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বর্তমানে শ্রী ষষ্ঠী মল্ল নামে একজন গ্রামবাসী নিযুক্ত আছেন। এর আগে তাঁর মা শ্রীমতী সবিতা মল্ল দেখাশোনা করতেন। তবে একার পক্ষে এই স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব নয়। কথায় কথায় ষষ্ঠী মল্ল ক্ষোভের সাথে জানালেন ......" অনেকেই মন্দির দেখতে  আসেন।  গ্রামে আসার রাস্তাটি লাল মাটির।  কিন্ত মন্দির দেখতে হলে জমির আলপথ মাড়িয়ে আসতে হয়। সেই কারণে অনেকে দূর থেকে মন্দির দেখে ফিরে যান। সরকার সচেষ্ট হলে এই মন্দিরটিকে ঘিরে  গ্রামটিকে একটি পর্যটন স্থল হিসেবেও গড়া যেতে পারে। আর তখনই স্বাভাবিকভাবেই গ্রামের মানুষের রুজি রোজগারের একটা ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে।"





এখন প্রশ্ন হ'ল ........ ইতিহাসের হাত ধরে এই এলাকা কি ভবিষ্যতের পর্যটন স্থান হিসেবে উঠে আসবে ?? এর জবাব পেতে হলে আগামী দিনগুলির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।